ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরণের মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা

৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরণের মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা

0
282

বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসে জেলেদের তোপের মুখে পড়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।

২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরণের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সরকার।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মতবিনিময় শেষে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এ সময় জেলেরা ‘মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, মানি না মানবো না’ স্লোগান দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর গাড়ি আটকে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন জেলেরা। তবে পুলিশের সহায়তায় সার্কিট হাউজ থেকে বের হয়ে যান তিনি।

এদিকে, প্রতিমন্ত্রীর পেছনের গাড়িতে থাকা  চ্ট্টগ্রাম  সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গাড়ি থামিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বলেন। মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিকল্প ব্যবস্থা, সহায়তার আশ্বাস দিয়ে জেলেদের শান্ত করেন তিনি।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আসছেন- এমন সংবাদে সকাল থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শুরু হলেও বাইরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ প্রদর্শন  করেন জেলেরা।

মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরণের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু এ পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কোনো আয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। প্রায় আড়াই মাস যদি মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে এতোগুলো পরিবার চলবে কীভাবে? আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, মাছ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পুনরায় বিবেচনা করুন। জেলেদের জন্য বিকল্প আয়ের উৎসের ব্যবস্থা অথবা এ দীর্ঘ সময় প্রায় ৫০হাজার পরিবার চলতে পারে, এমন ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

উল্লেখ্য, চ্ট্টগ্রাম বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভাগ হওয়ায় এ বিভাগের অধিবাসিদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মৎস্যজীবি। শহরের পতেঙ্গা, কাট্টলী এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার মৎস্য আহরণের উপর নির্ভর করে।