শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের স্পিরিট ধরে রাখার আহ্বান কর্মীদের
সেবাপক্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুর্জ গমেজ সেবাপক্ষ ২০১৯ এর স্পিরিট ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন । ‘শুধু ১৫ দিন নয়, সারা বছর ধরেই সেবাপক্ষের মতো উত্তম সেবা দিতে হবে’, বলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।
১ জুলাই সন্ধ্যাা সাড়ে ৭টায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ের বিকে গুড কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সভাপতি নির্মল রোজারিও ও হিউবার্ট গমেজসহ প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ডিরেক্টরস, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সমিতির কর্মীগণ। বাবু মাকুর্জ গমেজ কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সদস্যরা যত যবেশি ঢাকা ক্রেডিটের প্রডাক্ট গ্রহণ করবেন, আপনাদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা তত বাড়বে। বাবু মার্কুজ গমেজ আরো বলেন, সাধারণ মাসে সঞ্চয়ী আমানত গ্রহণের সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ২০০, কিন্তু সেবা পক্ষের ১৫ দিনের সঞ্চয়ী আমানত গ্রহণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ জনেরও ওপরে। এটি সম্ভব হয়েছে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের পরিশ্রমের কারণেই। গত বছর নদ্দা সেবাকেন্দ্র সবচেয়ে ভাল সেবা প্রদান করেছে। এ বছর নদ্দা সেবাকেন্দ্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সমিতির প্রেসিডেন্ট গমেজ সেবাকেন্দ্রর ম্যানেজার সুবাস রোজারিওকে এবং ঋণ খেলাপির হার কমানোর জন্য প্রত্যেক কর্মীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, যখন দেখবেন একটি প্রকল্প ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্ট অতিক্রম করেছে, তখন বুঝতে হবে প্রকল্পটি সমাজের জন্য প্রয়োজন আছে। উদাহরণস্বরূপ ঢাকা ক্রেডিট ছাত্রী হোস্টেলের কথা উল্লখ করেন। ঢাকা ক্রেডিটের যে সকল কর্মী কর্মজীবনে ৫, ১০ এবং ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানান ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা। তিনি বলেন, ঢাকা ক্রেডিট শুধু আর্থিকভাবে নয়, কর্মীদের সংখ্যাও বাড়ছে। আজ ৩২ কর্মীা পুরস্কার পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুর্জ গমেজের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের কাযক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি (সেক্রেটারি) তাঁকে ধন্যবাদ জানান। সেক্রেটারি প্রত্যেক কর্মীকে একজন পেশাদার ক্রেডিট কর্মী হয়ে ওঠার আহ্বান জানান এবং বর্তমান কার্যকরী পরিষদের কাছে প্রস্তাব রাখেন আগামী বছর সেবাপক্ষে যে সকল কর্মী সবোর্চ্চ সেবা প্রদানের জন্য পুরস্কার পাবেন, তাদের ছবিসম্বলিত পুরস্কার প্রদান করার। যেন পরবর্তী কর্মীরা বুঝতে পারে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন করা হয়। পংকজ গিলবার্ট কস্তা কর্মীদের প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য উৎসাহিত করেন। ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সভাপতি ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকা ক্রেডিটে পেশাগতভাবে উচ্চস্থানে যাওয়ার সুযোগ আছে। এখানে কর্মীদের আচার-আচরণ, কথা-বার্তায়, পোশাকেও পেশাদার হতে হবে। এখানে প্রফেশনালী কাজ না করলে নিজের যেমন পেশাদারিত্ব বাড়বে না, তেমনি প্রতিষ্ঠানেরও উন্নতি হবে না। ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সভাপতি হিউবার্ট গমেজ সেবাপক্ষে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের সেবার প্রশংসা করে বলেন, পুরাতন কর্মীদের নিকট থেকে নতুন কর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে। ‘আমি চাই ঢাকা ক্রেডিটে মূলধন বৃদ্ধি পাক। শ্রেষ্ঠ সমবায় হিসেবে সরকারের নিকট থেকে এই সমিতি যে স্বীকৃতি পেয়েছে, সেটার ধারা যেন ধরে রাখতে পারে।’ কর্মীদের পক্ষে বক্তব্যে নদ্দা সেবাকেন্দ্রের ম্যনেজার সুবাস রোজারিও বলেন, সেবাপেক্ষর ১৫ দিনের যে স্পিরিট আমরা দেখিয়েছি, এটা আমরা কর্মীরা বছরের বাকি সময়ও ধরে রাখতে চাই, এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া। ঢাকা ক্রেডিটের প্রোগ্রাম চিফ অফিসার জোনাস গমেজর ধন্যবাদ প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র হতে একজন ২০ বছর সেবা প্রদানের জন্য, দুইজন ১০ বছর সেবা প্রদানের জন্য এবং ৩২ জন পাঁচ বছর সেবা প্রদানের জন্য ঢাকা ক্রেডিটে প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের কাছ থেকে স্বীকৃতি হিসেবে সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। এ ছাড়া সেবা মাসে সবচেয়ে সেরা সেবাকেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে নদ্দা সেবাকেন্দ্র, সেরা ডিপার্টমেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট, সর্বোচ্চ (পরিমাণ) আমানতকারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে মনিপুরীপাড়া সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার বিপুল টি. গমেজ এবং সর্বোচ্চ আমানতকারী (সংখ্যা) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে নদ্দা সেবাকেন্দ্রের ট্রেইনি অফিসার মিস বর্ষা মাঝি। অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মী ব্যতীত উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর রতন পিটার কোড়াইয়া, উইলসন রিবেরু, প্রতাপ আগষ্টিন গমেজ, জন নিলু চাম্বুগং, আনন্দ ফিলিপ পালমা, আলবার্ট আশীষ বিশ্বাস, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সলোমন আই রোজারিও, সদস্য অন্তর মানখিন, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ষ্টেলা হাজরা, পাপড়ি আরেং এবং অঞ্জন বাড়ৈ। অনুষ্ঠানের শুরু এবং শেষে প্রার্থনা করেন সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ষ্টেলা হাজরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের কর্মী রিচার্ড রোজারিও।