শিরোনাম :
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শাকদা পরিত্রাণ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন
|| হেভেন শুভ দাশ ||
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে শাকদা পরিত্রাণ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শাকদা গ্রামের শাকদা পরিত্রাণ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন কারিতাস খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) দাউদ জীবন দাশ এবং সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার সেমিনারীর রেক্টর ফাদার মার্টিন মন্ডল।
পরিদর্শন কালে তাঁরা ক্রেডিট ইউনিয়নের পরিচালক মন্ডলী, ঋণদান কমিটি এবং সুপারভাইজারী সদস্যদের নিকট থেকে ক্রেডিট ইউনিয়নের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগণ কিভাবে উপকৃত হচ্ছে তা শোনেন। ক্রেডিট ইউনিয়ন থেকে ঋণ নিয়ে সদস্য কর্তৃক গৃহীত আয়মূলক কর্মকান্ড যেমন মুদি দোকান, গরু মোটাতাজাকরণ, ভ্যান প্রকল্প, জমি ক্রয়, বন্ধকী জমি উদ্ধার প্রভৃতি পরিদর্শন করেন।
আরো পড়ুন: কারিগরি শিক্ষা গ্রহণকারীরা পাস করার পরই চাকরি পায়: দিলু পিরিছ
ক্রেডিট ইউনিয়নটি ৮২ জন সদস্য নিয়ে ৩ মার্চ, ২০১২ সালে গঠিত হয়। আগস্ট, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ১১১ জন, সঞ্চয় জমা ৯৭,৭২৩ টাকা, শেয়ার জমা ৪,৯৯,৫৫৬ টাকা, ঋণী ৮০ জন এবং ঋণ স্থিতি ৭,১৩,৭৩৮ টাকা, মাসিক গড় আয় ৭,০০০ টাকা। একজন ভলেন্টিয়ার উক্ত ক্রেডিট ইউনিয়নের কালেকশন ও খাতাপত্র লেখার কাজ করেন।
এ বিষয়ে সভাপতি লুকাস মন্ডল বলেন, “ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠনের ফলে আমরা মহাজনী শোষণ থেকে মুক্তি লাভ করেছি, প্রয়োজনে ঋণ নিই এবং তা নিয়মিত পরিশোধ করি।”
সমিতিটি হওয়ায় এনজিও’র মাধ্যমে উচ্চ হাওে টাকা নিতে হচ্ছে না।
সদস্য সুমা রায় বলেন, “ক্রেডিট ইউনিয়নে টাকা রাখলে সদস্যদের লাভ, আর এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত সমিতিতে টাকা রাখলে এনজিও’র লাভ। তাই আমি ক্রেডিট ইউনিয়নে টাকা রাখি। আমাদের ক্রেডিট ইউনিয়ন একদিন বড় ক্রেডিট ইউনিয়নে পরিণত হবে।”
কারিতাস খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক দাউদ জীবন দাশ ক্রেডিট ইউনিয়ন বিষয়ে নেতাদের ধারণা, উৎসাহ, আগ্রহ ও পরিবর্তন বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কমিটির সকল সদস্যদের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় এ ক্রেডিট ইউনিয়ন একদিন অনেক বড় ক্রেডিট ইউনিয়নে পরিণত হবে আর তখন শাকদাসহ কলারোয়ার মানুষ এখান থেকে উপকৃত হবে।’
আরো পড়ুন: পাগাড়ের তরুণ উদ্যোক্তা জনির গল্প
‘একজন মা যেমন তার সন্তানকে ভালবাসে, লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে, সন্তান স্ববলম্বী হয় এবং পরে সন্তান মাকে যত্ন করে। ঠিক তেমনী ক্রেডিট ইউনিয়নটিও আপনাদের সন্তানের মতো। এটির যত্ন নিলে একদিন ক্রেডিট ইউনিয়ন আপনাদের দেখবে।’ বলেন ফাদার মার্টিন মন্ডল।
ক্রেডিট ইউনিয়নটি ৮২ জন সদস্য নিয়ে ৩ মার্চ, ২০১২ সালে গঠিত হয়। আগস্ট, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্রেডিট ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ১১১ জন, সঞ্চয় জমা ৯৭,৭২৩ টাকা, শেয়ার জমা ৪,৯৯,৫৫৬ টাকা, ঋণী ৮০ জন এবং ঋণ স্থিতি ৭,১৩,৭৩৮ টাকা, মাসিক গড় আয় ৭,০০০ টাকা। একজন ভলেন্টিয়ার উক্ত ক্রেডিট ইউনিয়নের কালেকশন ও খাতাপত্র লেখার কাজ করেন।
এ বিষয়ে সভাপতি লুকাস মন্ডল বলেন, “ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠনের ফলে আমরা মহাজনী শোষণ থেকে মুক্তি লাভ করেছি, প্রয়োজনে ঋণ নিই এবং তা নিয়মিত পরিশোধ করি।”
সমিতিটি হওয়ায় এনজিও’র মাধ্যমে উচ্চ হাওে টাকা নিতে হচ্ছে না।
সদস্য সুমা রায় বলেন, “ক্রেডিট ইউনিয়নে টাকা রাখলে সদস্যদের লাভ, আর এনজিও’র মাধ্যমে পরিচালিত সমিতিতে টাকা রাখলে এনজিও’র লাভ। তাই আমি ক্রেডিট ইউনিয়নে টাকা রাখি। আমাদের ক্রেডিট ইউনিয়ন একদিন বড় ক্রেডিট ইউনিয়নে পরিণত হবে।”
কারিতাস খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক দাউদ জীবন দাশ ক্রেডিট ইউনিয়ন বিষয়ে নেতাদের ধারণা, উৎসাহ, আগ্রহ ও পরিবর্তন বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কমিটির সকল সদস্যদের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় এ ক্রেডিট ইউনিয়ন একদিন অনেক বড় ক্রেডিট ইউনিয়নে পরিণত হবে আর তখন শাকদাসহ কলারোয়ার মানুষ এখান থেকে উপকৃত হবে।’
আরো পড়ুন: অনলাইনে কাজ শিখিয়ে ৩০০ জনের বেকারত্ব দূর করেছেন সুবীর নকরেক
‘একজন মা যেমন তার সন্তানকে ভালবাসে, লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে, সন্তান স্ববলম্বী হয় এবং পরে সন্তান মাকে যত্ন করে। ঠিক তেমনী ক্রেডিট ইউনিয়নটিও আপনাদের সন্তানের মতো। এটির যত্ন নিলে একদিন ক্রেডিট ইউনিয়ন আপনাদের দেখবে।’ বলেন ফাদার মার্টিন মন্ডল।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্কে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার সংম্বর্ধিত
গোবিন্দগঞ্জে বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার কমিটির সদস্য হামলার শিকার
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শাকদা পরিত্রাণ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন