ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ফিচার আজ সমর দাসের ১৮তম মৃত্যু বাষির্কী

আজ সমর দাসের ১৮তম মৃত্যু বাষির্কী

0
1270
|| তিমন রাজু হালদার ||

বাংলা গানের অমর সুর শ্রষ্টা ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস। পিতা জিতেন্দ্রনাথ দাস। জন্ম ১০ই ডিসেম্বর ১৯২৯, জন্মস্থান লক্ষীবাজার, ঢাকা। মৃত্যু সেপ্টেম্বর ২৫ই ২০০১।

১৯৪৫ সালে ষোল বছর বয়সে বংশীবাদক রূপে সঙ্গীতের জগতে তার পদার্পণ। তিনি বেহালাও বাজাতেন। এ বিষয়ে তার ওস্তাদ ছিলেন লোকনাথ সূত্রধর।

আরো পড়ুন: নকল করে সুর সৃষ্টি করা যায় না: সমর দাস

তিনি কলকাতার মঞ্চে ও রেডিও অনুষ্ঠানে ইলেকট্রিক হাওয়াইয়ান গীটার বাজাতেন। তাঁর পারফরমেন্স এতো উঁচু মানের হোত যে ভক্তরা তাঁর নাম রেখেছিল ‘দি গোল্ডেন ফিঙ্গার’।

১৯৫০ সালে তিনি কালিপদ সেনের ‘লটারী’ ছবির যুগ্ম সঙ্গীত পরিচালক ও সলিল চৌধুরীর ‘জিঘাংসা’ ছবির অসমাপ্ত আবহ সঙ্গীতের সার্থক রূপায়নের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম চলচিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ – এর সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৫৬ সনে ‘আছিয়া’ ১৯৫৭ সনে ডকুমেন্টারী ফিল্ম ‘নবারুন’। ১৯৬৩ সনে ‘মাটির পাহাড়’ ও ‘রাজা এলো শহরে’ ১৯৬৭ সনে ‘গৌরী’ , ‘দুই বউ’ ছায়াছবি সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

আরো পড়ুন: সংগীত পরিচালক শিল্পী সমর দাসের মৃত্যু বার্ষিকী পালন

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রধান সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময় উল্লেখযোগ্য গান পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, নঙ্গর তোল তোল, মা গো ভাবনা কেন আরো অনেক।

১৯৭২ সনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জাতীয় সংগীত অর্কেষ্ট্রেশন করার জন্য সমর দাসকে দায়িত্ব দেন। প্রথমে ভারতে এবং পরে লন্ডনে গিয়ে কাজটি করেন।

১৯৭৩ নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে রেডিও বাংলাদেশের সিগনেচার টিউন করার দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এবং রেডিও বাংলাদেশের প্রধান সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহন করেন।

১৯৭৫ সালে বাংলা ছায়াছবি ‘ধীরে বহে মেঘনা’ সঙ্গীত পরিচালনা করেন।

১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদক, স্বাধীনতা পদক পান।

১৯৮২ সালে ও ১৯৯৩ সালে ২য় ও ৬ষ্ঠ সার্ক গেমস এর উদ্বোধনী ও সমাপনী উভয় অনুষ্ঠানের মিউজিক এ্যারেন্জমেন্ট এর সার্থক রুপায়নে প্রধান সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৪ সালে প্রথম বাংলাদেশ গেমসের সকল ইভেন্টের জন্য প্রধান সঙ্গীত প্রযোজন ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম স্মরণে ‘শিখা চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। তিনি অনেক স্বর্ণপদক পান।

স্বর্ণপদক

১) পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ূব খান কর্তৃক প্রদত্ব।
২) ইরানের শাহ্ কর্তৃক প্রদত্ব।
৩) প্রথম সাউথ এশিয়া মিউজিক কনফারেন্স কমিটি কর্তৃক প্রদত্ব।
৪) শ্রেষ্ঠ ফিল্ম সিকোয়েন্স মিউজিক এর জন্য প্রদত্ব বঙ্গবন্ধু পদক।
৫) শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনার জন্য সাফ গেমস কমিটি কর্তৃক প্রদত্ব।
৬) জেবুন্নেসা ও মাহবুব উল্লাহ ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ব।
৭) ইউনিসেফ ট্রফি
৮) এফ.ডি.সি ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথম বাংলা ফিচার ফিল্মে সঙ্গীত
পরিচালনার জন্য।