শিরোনাম :
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যায় চেষ্টায় দেশব্যাপী আলোড়ন : নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার শিকার অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, পুরো সুস্থ হতে তার কয়েক দিন সময় লাগবে।
মাথা, পিঠ ও হাতে জখম নিয়ে জনপ্রিয় এই লেখক বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। সেখানেই রোববার চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
সিএমএইচ এর কনসালটেন্ট সার্জন জেনারেল মেজর জেনারেল মুন্সী মোহা. মুজিবুর রহমান বলেন, “বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সজ্ঞান, সচেতন ও আশঙ্কামুক্ত আছেন। তার দ্রুত আরোগ্য এবং সংক্রমণ রোধের জন্য হাসপাতালে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।”
আহত অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী সিএমএইচে যাবেন অধ্যাপক জাফর ইকবালকে দেখতে।
অপর দিকে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন তাঁর উপর হত্যার চেষ্টায় নিন্দা জানিয়েছে।
এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া যৌথভাবে এক বিবৃতিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির বিধান এবং এর পেছনে যারা পরিকল্পনাকারী রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তারা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের দ্রুত সেরে ওঠা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে এক তরুণ ছুরি নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায়।
আহত এই শিক্ষককে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হয়।
ডা. মুজিবুর রহমান জানান, জাফর ইকবালের মাথায় চারটি এবং পিঠ ও বাঁ হাতে একটি করে আঘাতের ক্ষত রয়েছে।
ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল নামের হামলাকারী তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।সে নিজেকে মাদ্রাসাছাত্র বলে পরিচয় দিতেন।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ বলেছে,জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু। তাই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছি।”
আরবি.আরপি. ৫ মার্চ, ২০১৮