ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ অনুষ্ঠিত হলো কাককো লিমিটেডের ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা

অনুষ্ঠিত হলো কাককো লিমিটেডের ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা

0
607

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

অনুষ্ঠিত হলো দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি:-এর ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২১।

১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় মোহম্মদপুর সিবিসিবি সেন্টারে কাককোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও’র সভাপতিত্বে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, কাককোর প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান জেমস সুব্রত হাজরা, বহুমুখী সমিতির সেক্রেটারি বিনয় গোস্বামীসহ আরো অনেকে।

কাককোর সেক্রেটারি ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা, ট্রেজারার প্রদীপ সরকারসহ কাককোর পরিচালনা পর্ষদ ও সদস্য সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতি নির্মল রোজারিও সকল প্রতিনিধিকে সাধারণ সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সদস্য সমিতিগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে। মূলধন ও সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবস্থাপনারও ঝুঁকি বাড়ছে। এই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্ব ও পেশাদারি ব্যবস্থাপনার, নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কারিগরি জ্ঞানের আদান-প্রদান। প্রাথমিক সমিতিগুলো শক্তিশালী করতে হলে নিজেদের মধ্যে ঐক্য, সংহতি, বোঝাপরা ও সমঝোতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

‘সাধারণভাবে সমিতি পরিচালনার ধ্যান-ধারণা থেকে বাইরে এসে পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রাথমিক সমিতিগুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ ছাড়াও সমবায় আইন, বিধি ও সমিতির উপ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে’ বলেন সভাপতি নির্মল রোজারিও।

এ সময় তিনি কাককোর সার্বিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সকলকে একাত্ম হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন ‘আমরা অল্প সময়ে অনেক অর্থ কামাতে চাই, আর একটা বিষয় হলো সামান্যতম সামাজিক অনুষ্ঠান আমরা অনেক বড় আকারে আয়োজন করি, তখন আমরা সমিতি থেকে ঋণ নিই এবং ঋণখেলাপী হই। এ ছাড়াও আমাদের কোয়ালিটি নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। এই কাজটিও কাককো করতে পারে। শুধু তাই নয়, যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদেরও আরো বেশি সুশিক্ষিত করতে হবে। আমাদের সমিতিগুলো প্রোডাক্ট অরিয়েন্টেড হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সমিতি হিসেবে কাককো উদ্যোগ নিতে পারে।’

‘আমরা ঢাকা ক্রেডিট মেগা প্রকল্প ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। আপনারাও আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন। আপনাদের সাথে হাসপাতালে শেয়ারের জন্য সংলাপ করবো। এ ছাড়াও আমরা একটি মৌলিক সফট্ওয়্যার তৈরি করতে যাচ্ছি, সেখান থেকেও আপনারা স্বল্প খরচে সেবা নিতে পারবেন’ বলেন প্রেসিডেন্ট কস্তা।

তিনি আরো বলেন, ‘কাককো বড় জায়গা কিনে স্যাটেলাইট টাউন করতে পারে। এতে খ্রিষ্টান সমাজ লাভবান হবে। আমাদের স্বচ্ছ থাকতে হবে, যেন আমাদের সম্মান টিকে থাকে। কাককো এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। এ ছাড়াও কাককোর উচিত খুব শীঘ্রই অন্যান্য সমিতির জন্য অডিট সুবিধা প্রনয়ণ করা। আর্থিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কাককো আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়েও নজর দেবে বলে আশা করি।’

বিশেষ অতিথি আগষ্টিন পিউরীফিকেশন বলেন, ‘আজ স্মরণ করি আর্চবিশপ লরেন্স এল. গ্রেণার ও ফাদার চার্লস জে. ইয়াংকে। তাঁদের জন্যই আমরা এই সমবায়ের পতাকা তলে এসে সমাজ ও জীবনের উন্নয়ন করতে পারছি। কাককোও আজ আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সমবায়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ঋণখেলাপী রোধ এবং সমবায়কে আরো শক্তিশালী করতে এই কাককোর যাত্রা হয়েছে। যারা কাককো প্রতিষ্ঠা করেছে, তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। সবাই সম্মিলিতভাবে কাককোর নীতিমাল মেনে চলবো। তাহলেই কাককোর উদ্দেশ্য সফল হবে।’

বিশেষ অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস বলেন, ‘কাককো একটি ফোরাম। কাককোর মাধ্যমে আমরা সমিতিগুলোর উন্নয়ন ঘটাতে পারি। কালব যেমন ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, কাককোও ঢাকা ক্রেডিট থেকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কাককো যেন অডিট বিভাগ দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করে, তাহলে আমাদের সমিতিগুলো আরো বেশি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ হবে।’

বিশেষ অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘কাককোর মাধ্যমে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স রহিত করার আলোচনা মন্ত্রীপরিষদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সমবায়ের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ও আমাদের নেতৃত্বে যেতে হবে। তাই কাককোর মাধ্যমেও এটা হতে পারে। চেয়ারম্যানের কাছে এই আহ্বান থাকবে। আমরা সকল সমিতির সদস্যরা যেন এই প্ল্যাটফর্মের সাথে সব সময় অংশগ্রহণ করতে পারি।’

বার্ষিক সাধারণ সভা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমেই উপস্থিতি গণনা ও কোরাম ঘোষণা; আসন গ্রহণ এবং অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা, সমবায় পতাকা ও কাককো’র পতাকা উত্তোলন করার পর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্যায়ক্রমে বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন; ব্যবস্থাপনা পরিষদের কার্যক্রম প্রতিবেদন পেশ ও অনুমোদন; আর্থিক প্রতিবেদন পেশ ও অনুমোদন; প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন; নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন; উপ-আইন সংশোধনী; অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কোষের প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শেষে কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা ধন্যবাদ বক্তব্য দিয়ে বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।