ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ফলো আপ সভা

অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার ফলো আপ সভা

0
343

ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা

ঢাকা ক্রেডিটের ৬ষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার কোয়াটার সময়কালীন অর্জন সমূহ নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা ক্রেডিটের ম্যানেজারদের সমন্বয় সভা।

২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে সারাদিন ব্যাপী উক্ত সভার সূচনা হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টমাস রোজারিও, অতিরিক্ত সিইও শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশনসহ সিওগণ এবং প্রধান কার্যালয় ও সকল সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার ও ইনচার্জবৃন্দ।

সভায় ৬ষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনার কোয়াটার সময়কালীন অর্জন ও অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সকালে উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘বিগত দুই বছর ধরে আমরা অতিমারি করোনার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছি। এক সময় করোনার প্রভাবও শেষ হবে। বিগত ৬ষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা ঠিক মতো করতে পারিনি। করোনার প্রভাবে একদিনের মধ্যে আমাদের কর্মপরিকল্পনার অধিবেশন শেষ করতে হয়েছে। ইতি মধ্যে কর্মপরিকল্পনার টার্গেটের ১ বছর শেষ হয়েছে। আরও দুই বছর রয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার টার্গেট পূরণ করতে হবে আমাদের। যার যার অবস্থানে থেকে যদি আমরা নিজের সঠিক কাজটি করি, তাহলে টার্গেট পূরণ হয়েও অর্জন আরও বেশি হবে। তাই আমাদের সকলের উচিত কর্মপরিকল্পনার বিষয়গুলো সঠিকভাবে ফলো আপ করা।’

‘ঢাকা ক্রেডিটের পূর্বের চিত্র এখন আর নেই। আগে বোর্ড কর্মকর্তাগণ এসে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন, আর আপনারা কাজ করেছেন। এখন আপনারাই ভালো-মন্দ বুঝে কাজ করছেন। কর্মকর্তাগণ শুধু ফলো আপ করছেন। এখন আপনারাই পরামর্শ দিয়ে প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টায় আমাদের সকলকিছু অর্জন সম্ভব হবে। এর জন্য প্রয়োজন আন্তঃবিভাগীয় ও কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা,’ বলেন সমিতির প্রেসিডেন্ট পংকজ।

‘এই করোনার অতিমারিতে এখনো আমরা ভালো আছি এবং বেঁচে আছি, সত্যিই আমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদিত’ উল্লেখ করেন ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টমাস রোজারিও। তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘এই অতিমারির মধ্যে ঢাকা ক্রেডিট নতুন প্রডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে এসেছে। সফলতা অর্জনের জন্য আমাদের সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এরজন্য নিজেদের দায়িত্ব, বিভাগীয় কর্মীদের দিকে লক্ষ্য ও যত্ন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি আরও একটু সচেতন হয়ে কাজ করি, তাহলে কোনো লক্ষ্য থেকেই আমরা দূরে থাকবো না। কর্মপরিকল্পনার অর্জনগুলো সফলভাবে পূরণ হবার পরও আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো। বোর্ড, সদস্য এবং কর্মীরা সবাই আমরা আত্মমর্যাদাশীল হতে চাই। এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলে আমাদের সফলতা আসবেই।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে অতিরিক্ত সিইও শীরেন সিলভেস্টার গমেজ বলেন, ‘আমাদের কর্মপরিকল্পনার প্রথম কোয়াটার শেষ হয়েছে। আজ আমরা আমাদের অর্জনগুলো ফিরে দেখবো। করোনা অতিমারিতেও আমরা টার্গেট পূরণ করতে পারছি এবং ঈশ্বর আমাদের ভালো রেখেছেন, তাই মহান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি পুরো সময়ের মধ্যে আমাদের কর্মপরিকল্পনার পুরো টার্গেট সফলভাবে অর্জন করতে পারবো। আজকের সভার বিষয়বস্তু ধারণ করে তা প্রতিপালন করতে পারলে, সফলতা অর্জন হবেই।’

সভায় বিগত এক বছর এবং চলতি বছরের দুই মাসের টার্গেট, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন ম্যানেজার ও ইনচার্জগণ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্রেডিটের ৬ষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মপরিকল্পনায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে গুণগত মানের সদস্য বৃদ্ধি, সঞ্চয় আমানত সংগ্রহ, বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ যেমন: স্বাস্থ্য, আইসিটি, আবাসন, গুণগত ঋণ, কনজিউমার প্রডাক্ট ঋণ, ক্রেডিট কার্ড ঋণ, শিক্ষা ঋণ, এগ্রোবেইজড ঋণ, সম্পদ বৃদ্ধি, নেতৃত্বের বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান, ঋণখেলাপি হ্রাস, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি।

স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ঢাকা ক্রেডিটের সম্পদ পরিসম্পদ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ শত কোটি টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ঢাকা ক্রেডিটের সম্পদ পরিসম্পদ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা ক্রেডিটের ৬ষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনার ভিডিও