ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা আন্তর্জাতিক অবসরপ্রাপ্ত বিশপ লিনুস নির্মল গমেজ এসজে’র চির বিদায়

অবসরপ্রাপ্ত বিশপ লিনুস নির্মল গমেজ এসজে’র চির বিদায়

0
730

ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
আঠারগ্রামের গোল্লা ধর্মপল্লীতে জন্ম নেওয়া পশ্চিম বঙ্গের বারুইপুরের অবসরপ্রাপ্ত বিশপ লিনুস নির্মল গমেজ এসজে মারা গেছেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থাবস্থায় কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর তাঁর ১০০ বছর হওয়ার কথা ছিল।
বিশপ লিনুস বারুইপুরের প্রথম ধর্মপাল ছিলেন। তিনি সেই ধর্মপ্রদেশে ২৫ বছর সেবা দেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশে অগ্রগামী জেজুইট মিশনারি ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে জেজুইটরা মিশনারি হিসেবে সেবা দেওয়া শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশে ১৫ জুলাই ১৯৯৭ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ১৭ বছর বাংলাদেশে প্রৈরিতিক কাজ করেছেন।
ডিসিনিউজকে জেজুইট মিশনারি ফাদার ইগ্নাসিওস এস গমেজ বিশপ লিনুসের বিষয়ে বলেন, ‘বিশপ লিনুস ছিলেন সদা হাসিখুশি, পরিশ্রমী, ধার্মিক ও সহজ সরল একজন ধর্মগুরু। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গীভরভাবে শোকার্ত।’
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা ও সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া। তাঁরা এক শোক বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশের সন্তান বিশপ লিনুস নির্মল গমেজ এসজে’র মৃত্যুতে আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। খ্রিষ্টমন্ডলীতে তাঁর অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। ঈশ^র তাঁর আত্মার চির শান্তি দান করুন।’
সংক্ষিপ্ত জীবনী:
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ সেপ্টেম্বর বিশপ লিনুসের জন্ম ঢাকার নবাবগঞ্জের গোল্লায়। তিনি ডমিনিঙ্গ গমেজ ও সিসিলিয়া গমেজের সন্তান। তিনি বান্দুরা স্কুল থেকে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে মেট্রিকুলেশন পাশ করে পড়াশোনা করেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজে। তিনি জেজুইট সম্প্রদায়ের যাজক হিসেবে অভিষেক লাভ করেন ২১ নভেম্বর ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি বারুইপুরের বিশপ হিসেবে নিয়োগ পান ৩০ মে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে। বিশপ হিসেবে অবসরে যান ৩১ অক্টোবর ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি বেশ কয়েক বছর কলকাতার সেন্ট পিটার স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি কলকাতার সেন্ট তেরেজা গির্জার পাল-পুরোহিত হিসেবে নিষ্ঠার সাথে সেবা দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রেরণ কাজ করেছেন।