শিরোনাম :
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও মিছিল
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার সকাল ১১টায় মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং হাইকোর্টের রায় হওয়ার পরেও আমরা এখনো আমাদের সম্পত্তি পাই নি। এর পেছনে রয়েছে আমলা তান্ত্রিকতা এবং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’ এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের সভাপতি শ্রী বসুদেব কুমার।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন সংসদে গৃহীত হলেও ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিবাচক সংশোধনী এলেও আজ পর্যন্ত ভুক্তভোগী মালিকদের কেউ তাদের সম্পত্তি ফেরত পায়নি।’
‘সরকারী হিসাব অনুযায়ী ‘ক’ তফসীলভুক্ত সম্পত্তি প্রত্যার্পণের আবেদনে ট্রাইবুনালে ১ লক্ষ ৬২ হাজার মামলা দায়ের হলেও এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল নিষ্পত্তি হয়েছে হয়েছে মাত্র ১০ হাজার। গত ৩ এপ্রিল এ ব্যাপারে ইতিবাচক পরিপত্র আইনমন্ত্রানালয় থেকে জারির পর গত ২৫ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রানালয়ের সচিবের কাছে এ পরিপত্রের আইনীদিক পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপসচিব ড. ফারুক আহমদের পত্র আমলা তান্ত্রিক চক্রান্তের সর্বশেষ পদক্ষেপ বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।’
‘কালো আইন ‘অর্পিত সস্পত্তি’ আইনের জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে ১৯৬৫সাল থেকে আজ অবধি। শুধু হিন্দুদের সম্পত্তি নয় দক্ষিণ বঙ্গের অনেক খ্রিস্টানদের জমি এই আইনের আওতায় ভুক্ত হয়েছে। হাইকোর্ট রায় দেবার পরেও আমলাতান্ত্রিকতার কারণে আমরা এই সম্পত্তির ভোগ দখল পাচ্ছি না। এই বিরম্বনার আমরা অবসান চাই’ এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোশিয়েশনের সংগ্রামী সহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি অলোকা ঘোষ সংগ্রামী কণ্ঠে বলেন, ‘এই অর্পিত সম্পত্তি আইন আগে শত্রুুসম্পত্তি নামে ছিল। বাংলাদেশে হিন্দুরা কারো শত্রুু না। যদি শত্রুু হতো তাহলে মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতো না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক শত্রুু নয়। প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি এই অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রত্যহারের জন্য।’
এ ছাড়া বক্তরা বলেন, তিন কোটি মানুষের সম্পত্তি নিয়ে ছিনি-মিনি খেলে কখনো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আগামি নির্বাচনের আগে যদি কোন বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এই ঐক্য পরিষদ বাধ্য হবে অন্য পস্থা অবলম্বন করতে। কারণ সাধারণ মানুষের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে।
এই মানবন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ব্যতীত ১৮টি সংগঠন একত্রিত হয়ে মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মিছিলের আগে ঘোষণা দেন আগামি ৩০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সারা বাংলাদেশ একই দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ধর্ণা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
আরবি.এইচআর. ২৭ জুলাই ২০১৮