ঢাকা ,
বার : শনিবার
তারিখ : ০৪ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ২১ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ অর্পিত সম্পত্তি প্রর্ত্যপণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের দাবিতে সংবাদ...

অর্পিত সম্পত্তি প্রর্ত্যপণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0
1081

‘১৯৭৪ সালে (ঈড়হঃরহঁধহপব ড়ভ ঊসবৎমবহপু চৎড়ারংরড়হং) (জবঢ়বধষ) (জরুরী প্রবিধানের ধারাবাহিকতা) (বাতিল) আইন পাশ করাটা ছিল ঐত্যিহাসিক ভুল। প্রকৃতপক্ষে আইনের দৃষ্টিতে তা ভুল হলেও বাস্তবে ছিল পাকিস্তানী আমলের অনুসৃত সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া স্বাধীন বাংলাদেশেও অব্যাহত রাখার আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত মাত্র।’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।

শনিবার, সকাল ১১টায় (১৪ জুলাই) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ অর্পিত সম্পত্তি প্রর্ত্যপণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ।

তিনি বলেন, ‘এই ঐত্যিহাসিক ভুলের উপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে ভূমির অধিকার হরণের দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে একতরফা অবর্ণনীয় অত্যাচার, হয়রানি ও সীমাহীন দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় হয়।’

‘এর বিরুদ্ধে পরিচালিত মানবাধিকার আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার সরকার গত ২০০১ সালের ১৬ নং আইনমূলে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১’ প্রণয়ন করেন, যা ঐ বছরের ১১ এপ্রিল গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত সম্পত্তি বাংলাদেশী মূল মালিক বা তার বাংলাদেশী উত্তরাধিকারী বা উক্ত মালিক বা উত্তরাধিকারী বাংলাদেশী স্বার্থাধিকারীর কাছে প্রত্যর্পণই ছিল এ আইনের মূখ্য উদ্দেশ্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে ২০০১ সালে প্রণীত এই অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পরবর্তীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে অকার্যকর করে রাখা হয়’ বলেন দাশগুপ্ত।

তিনি আরো বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার গঠিত হওয়ার পর তাঁরই আন্তরিক উদ্যোগে ২০১১-২০১৩ সালের মধ্যে আরো ৪টি সংশোধনী ২০০১ সালের মূল আইনে এনে একে অধিকতর ইতিবাচক করা হয়। এসব সংশোধনী আইন প্রণয়নকালে তাকে কীভাবে গণবিরোধী আইনে পরিণত করা যায় তার জন্যে আমলাতান্ত্রিক চক্রান্তও আমরা দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করেছি। এ চক্রান্তের ফলশ্রুতিতে ২০১১ সালের সংশোধনী আইনে ‘খ’ তফসিল সংযুক্ত করা হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। পরবর্তীতে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিলুপ্ত করা হয়। এর পরও আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত চলতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪৬ নং আইন গত ১০ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবার পরবর্তীতে বিভিন্ন পর্যায়ে আরো তিন বার আইনের খসড়া মন্ত্রী সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপতি হয় যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণে বাধাসৃষ্টিকারী মহলের অব্যাহত চক্রান্ত সম্পর্কে সকলস্তরের জনগণকে অবহিত করার লক্ষে এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন দ্রুত বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু আন্তরিক হস্তক্ষেপের দাবিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ মাঠ পর্যায়ে ধারাবাহিক আন্দোলনের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের পেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, জেমস সুব্রত হাজরা, এন্ড্রু শিকদার, লরেন্স মানিক রোজারিও, ভিক্টর রে, তাপস পাল, উত্তম চক্রবর্তী, রবীন্দ্রনাথ বদু, অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, বাসুদেব ধর, মঞ্জু ধরসহ আরো অনেকে।

আরবি.এসআর. ১৪ জুলাই ২০১৮