শিরোনাম :
আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে : সংখ্যালঘু-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় চাই
সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানুষের তৈরি বৈষম্য দূর করতে চাই। এ জন্য সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে’ সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন। উৎসবের স্লোগান ছিল, ‘অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষায়, আদিবাসী -বাঙালি যুব মিলি একতায়’। ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের সহযোগিতায় মিলনমেলা উদযাপন কমিটি ও গাইবান্ধার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অবলম্বন এই উৎসবের আয়োজন করে।
সুলতানা কামাল বলেন, সব বৈষম্য মানুষের সৃষ্টি। প্রকৃতি বা সৃষ্টিকর্তা বৈষম্য তৈরি করেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম এ জন্য, যেখানে কোনো ভিন্নতা থাকবে না, থাকবে না কোনো বৈষম্য। বৈষম্য করে তারা, যারা বৈষম্যের ওপর ভর করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে।’
মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ হলো আমাদের সবচেয়ে বড় দিকনির্দেশনা ও পথপ্রদর্শক। সেই পথ ধরে, সেই দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা এমন দেশ প্রতিষ্ঠিত করব, যেই দেশে কেউ কোনোভাবে বৈষম্যের শিকার হবে না, নির্যাতিত হবে না।’
উৎসবে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’
আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির আহ্বায়ক প্রিসিলা মুর্মু। বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সাদুল্যাপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম, আদিবাসী বাঙ্গালী সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাক্সে, আদিবাসী নেতা গৌর চন্দ্র পাহাড়ী, সারা মার্ডি, আদিবাসী যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব কমিটির সদস্যসচিব মাইকেল মার্ডি, অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী প্রমুখ।
এর আগে আজ বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
পরে অনুষ্ঠানস্থলেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য ১৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।