শিরোনাম :
আমরণ অনশনে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকেরা
আবারো এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকেরা অনশনে নেমেছে।দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আজ সোমবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন লাগাতার আন্দোলনে থাকা নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে আজ সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের উত্তর পাশে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সংগঠনটির নেতারা বলছেন, এবার স্বীকৃতি পাওয়া সব কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
সংগঠনটির এক নেতা জানিয়েছেন, সকালে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত ও শপথবাক্য পাঠ করানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। শপথবাক্য পাঠ করান ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী।
শপথবাক্যে বলা হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।
এর আগে একই দাবিতে ১০ জুন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা একই স্থানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের কাছে তাঁরা এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত শনিবার তাঁরা এই স্থানে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, গতকাল রোববারের মধ্যে সরকার এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না জানালে তাঁরা সোমবার থেকে আমরণ অনশনে যাবেন। সেই ঘোষণা অনুসারে শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ থেকে অনশন শুরু করেছেন।
সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২৭ হাজার ৮১০ টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী প্রায় ৫ লাখ। তাঁদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে ৯ শ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে পাঁচ হাজার ২৪২ টি। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। স্বীকৃতির বাইরে দুই হাজারেরও বেশি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।
যেসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অংশ (মূল বেতন ও কিছু ভাতা) দেওয়া হয়, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত বলা হয়। আর যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
আরবি.আরপি. ২৫ জুন ২০১৮