ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট আমি কি ভুলিতে পারি : ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

আমি কি ভুলিতে পারি : ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

0
1781

শোক গাথার মাস, ভাষা প্রতিষ্ঠার মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল কিছু নিবেদিত ভাষা শহীদ ৫২’র ভাষা আন্দোলনে। ১৯৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি সেই রক্তক্ষয়ী দিনটি আজ বাঙালির জন্য অহংকার এবং শ্রদ্ধার।

সেই সকল ভাষা শহীদের পদতলে বিন¤্রভাবে শ্রদ্ধা জানায় ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের শিশুরা। শ্রদ্ধা জানায় দেশের সর্ববৃহৎ সমবায় প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা ক্রেডিটে’র কর্মীরাও।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো, একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ কালজয়ী গানের সুরে শিশুরা শ্রদ্ধাবনত হয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার কল্যাণ কামনা করে। ঢাকা ক্রেডিটের কেন্দ্রীয় অফিসের কর্মীরাও সমবেত হয়ে এ দিন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের আত্মার কল্যাণে প্রার্থনা করেন।

শহীদ দিবস উপলক্ষে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের শিশুরা এ দিন দেশত্ববোধন গান এবং কবিতা পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠানে সেন্টারের শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল তদান্তীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বাংলা ভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদি বেআইনী ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন রফিক, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকে। শহিদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। ক্রমবর্ধমান গণ-আন্দোলনের মুখে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় এবং ১৯৫৬ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি প্রদান করে।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়।

 

আরবি/আরপি/২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮