শিরোনাম :
আরেকটি ইতিহাসের হাতছানি!
বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েরা ক্রমশই পরাশক্তি হয়ে উঠছে।
আরেকটি ইতিহাস রচিত হল। বিশ্ব ফুটবল পরাশক্তিদের পরাজিত করে স্বপ্নের ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা। মালদ্বীপকে বলতে হবে একরকম গুঁড়িয়ে দিয়েই প্রথম বারের মতো মেয়েদের সাফ ফুটবলের ফাইনালে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে আরেকটিবার দেখেছে বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবল নৈপুণ্য।
২ জানুয়ারি, সোমবার ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মালদ্বীপকে ৬-০ গোলে হাড়িয়ে বাংলাদেশ মেয়ে ফুটবল দল ফাইনালে উঠে। হ্যাট্রিক করেছে সিরাত জাহান স্বপ্না। জোড়া গোল সাবিনা খাতুনের।
গত সাফে ৩-১ আর এসএ গেমসে ২-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল কৃষ্ণারা।বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আফগানিস্তানকে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সাফ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের সাথে গোলশূন্য ড্র করে। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে প্রথমবারের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ।
পুরুষ ফুটবল দল যেখানে বাংলাদেশকে হতাশার চাদরে ঢেকে দিয়েছে সেখানে মেয়েরা দেশে ও বিদেশের মাটিতে একের পর এক ফুটবল নৈপুণ্য দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়েই যাচ্ছে।
বলতে হবে মেয়েদের ফুটবলের স্বর্ণযুগই চলছে এখন।
৪ জানুয়ারি, বুধবার তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সাথে স্বপ্নের ফাইনাল খেলবে সাবিনা, মার্জিয়ারা।
গত দুই-তিন বছর ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে মেয়েরা যে ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে তা যেমন বিশ্বফুটবলে নন্দিত ও প্রশংসিত হচ্ছে তেমনি দেশের ফুটবলের জন্যেও তা একটি মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
সোমবার প্রথম সেমি-ফাইনালে নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো ফাইনালে ওঠে ভারত। ৪ জানুয়ারি,বুধবার টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে সাফ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আরেকটি ইতিহাস অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। ইতিহাসের জনক যদি হয় হেরোডোটাস তবে অবশ্যই বাংলাদেশ ইতিহাস তৈরির কারখানা! অন্য এক ইতিহাস রচিত হবে, মঞ্চ প্রস্তুত, সারা বাংলার মানুষও, আরেকটি বিজয় উদযাপনের জন্য।
আরবি/আরপি/এসএন/৩ জানুয়ারি, ২০১৭