শিরোনাম :
আস্থা রাখতে বলছেন মাশরাফি
দেশের মাটিতে একের পর এক সাফল্যের পর বিদেশের মাটিতে গিয়ে (নিউজিল্যান্ড) টীম বাংলাদেশ ধবলধোলাইয়ের শিকার হল।
হারের মাঝেও সান্ত্বনার আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি।
গত আড়াই বছরে মাশরাফি, তামিম, সাকিবরা দেশের মাটিতে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে, বিশেষ করে একদিনের ক্রিকেটে। কিন্তু সেই ওয়ানডেতেই নিউজিল্যন্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হার বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কষ্ট দিয়েছে। যদিও খেলায় হার জিত আছে। ক্রিকেটের যে দুই সংস্করণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি নড়বড়ে, সেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ সামনে। এই অবস্থায় এই দুই সিরিজেও ভরাডুবির শঙ্কা থাকছেই। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজে হেরেও মনোবল হারাচ্ছেন না অধিনায়ক মাশরাফি, ‘তিন ম্যাচ দিয়েই আমাদের বিচার করাটা ঠিক হবেনা।
যদি বিচার করতে হয়, অনেক ইতিবাচক দিকের কথা বলতে হবে। উপমহাদেশের দল এখানে এসে সুযোগও তৈরি করতে পারে না। আমরা সেটা অন্তত করতে পেরেছি। সুযোগগুলো ভাল ভাবে কাজে লাগাতে পারলে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকতাম। পাঁচ বছর পর এখানে খেলতে এসে সবকিছু আমাদের পক্ষে থাকবে, এমনটা আশা করা ঠিক হবেনা। এই সফরের এখনো অনেক খেলা বাকি আছে। একটি ভালো দিন পুরো সফরটা অন্য রকম করে দিতে পারে।’
৩১ ডিসেম্বর, শনিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের ওপেনিং জুটির ১০২ রান বাংলাদেশকে বড় স্করের আশা দেখাছিল।এমন দুর্দান্ত শুরুর পরও এই হারের ব্যাখ্যা আসলে কী? ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বললেন, ‘ব্যাখ্যা দেওয়া আসলে কঠিন। এমন শুরুর পর আমরা আশা করছিলাম স্কোরটা আরও বড় হবে। সাত-আটজন ব্যাটসম্যান তখন ড্রেসিংরুমে। এক-দুটি উইকেট পড়ার পর আবার সেট হয়ে খেলতে হয়, কিউরা যেটা করতে পেরেছে, আমরা সেটা পারিনি। আমরা মানসিকভাবে অতটা শক্ত ছিলাম না।’
এ হারের পেছনে ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নয়, মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিকেই পাখির চোখ করছেন মাশরাফি, ‘দুই দলের দক্ষতা যদি তুলনা করেন, আমরা সমানই ছিলাম। আমরা আসলে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছি। এখনো বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যাটসম্যানদের রান করার সামর্থ্য আছে। স্কিল আছে, মানসিকভাবেই তারা পিছিয়ে পড়েছে। আরেকটু ইতিবাচক থাকলে ভালো হতো।’
আগামী ৩, ৬ ও ৮ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ১২-১৬ জানুয়ারি প্রথম ও ২০-২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয় টেস্টের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড সফর।
এনএস/আরপি/আরবি/৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬