শিরোনাম :
ইদ উপলক্ষে বের হচ্ছে রাহুল গোমেজ মিউজিক ভিডিয়ো (ছবি)
ডিসিনিউজ|| ঢাকা
নাম রাহুল গোমেজ। শৈশব থেকেই গান বাজনার প্রতি প্রবল আগ্রহ। খুব ছোটবেলায় “শ্রাবণ মেঘের দিন” সিনেমার শ্রদ্ধেয় বারী সিদ্দিকি’র গাওয়া “আষাঢ় মাইসা ভাসা পানি” গান্টি গেয়ে এক ঘরোয়া পরিবেশে সবার নজর কেড়ে নেন। তিনি তখন সম্ববত ২য় থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সেন্ট প্যাট্রিক্স গ্রামার স্কুলের। তিনি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন, অবধি চলমান। তাঁর বাবা সুরকার ও আধুনিক গানের শিল্পী । তাঁর মা শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছেন শৈশবে। ৭০ এর দশকে মা নতুন কুড়ি প্রতিযোগিতায় প্রতিভাবান শিল্পী হয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নজরুল সংগীতের শিল্পী। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে রাহুলের মায়ের গুরুমুখী শিক্ষা যা ওস্তাদজী’র কাছ থেকে নেয়া।
ছোটবেলায় গান শেখার পাশাপাশি তাঁর বাবা একদিন মনে করলেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন এই মুহূর্তে। তখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাহুল । তাই শৈশবে তাঁর বাবা ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে প্রারম্ভিক শ্রেণিতে তাঁকে ভর্তি করেন। রবি ঠাকুরের গান দিয়ে তাঁর জীবনে সংগীত শিক্ষা শুরু।
ঠিক সে সময়ে প্রচুর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হতো রাহুলের এবং তাঁর কখনও পুরুস্কার ছাড়া বাড়ী আসা হয়নি। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার ও আব্দুন নূর তুষার ভাইয়ের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চ্যানেল আই’তে “নবগানে নবপ্রানে” রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতায় সেমি ফাইনাল রাউন্ড পর্যন্ত এসেছিলেন। এরপর “Nescafe get Set Rock” একটি রিয়্যালিটি শো’র বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে Top 10 হয়েছিলেন তিনি। এরপর চ্যানেল নাইনে “পাওয়ার ভয়েজ” একটি রিয়্যালিটি শো’র বাছাই পর্বে সেরা ১০শে ছিলেন তিনি। শিল্পী হবার সাথে তিনি একজন গীটার বাদক, তবলা বাদক এবং পিয়ানো বাদক। রাহুল সংগীত পরিচালনায় আছেন মিডিয়াতে বহুদিন ধরে।
২০০৭-২০০৮ সালে উৎসাহিত হয়ে এনটিভি’র তখনকার দিনে তরুণ প্রজন্মের অত্যন্ত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “আমারও গাইতে ইচ্ছে হলো” একটি মিউজিক্যাল টকশো’তে নিজের লেখা সুর করা গান গেয়ে সেরা শিল্পী হয়েছিলেন তিনি। সেরা শিল্পী হবার পর যে মঞ্ছে আইয়ুব বাচ্চু ভাই , রুনা লায়লা ম্যাম, শাকিলা জাফর গান করেন ঠিক সেই মঞ্ছে তরুণ শিল্পী হিসেবে রাহুলও একটি সুযোগ পান গান গাইবার, সেটি ছিলো এনটিভির নবম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে। এরপর একে একে যমুনা টিভি, রেডিও টুডে, ঢাকা এফএম, আরো সকল টিভি চ্যানেল ও এফএম স্টেশনে রাহুল শিল্পী হিসেবে গান করেছেন। বর্তমানে “সকালের বাংলাদেশ” একটি মিউজিক্যাল টকশো’তে প্রায়ই অতিথি শিল্পী হয়ে লাইভ গান করা হয় তাঁর।
গানবাজনার পাশাপাশি MBA লেখাপড়া শেষ করেছেন দেশের স্বনামধন্য AIUB বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন একটি কর্পোরেট অফিসে মানব সম্পদ বিভাগে কাজ করছেন।
মিউজিক ভিডিও করার আগ্রহ ছিলো কৈশোর থেকেই। শৈশবে তাঁর মা তাঁকে অডিও ক্যাসেট ও সিডি কিনে দিতেন এবং বলতেন আগে কান তৈরি করো তবেই তো শিল্পী হতে পারবে। রাহুল সব ধরনের গান শুনেন এবং গাইতে চেষ্টা করেন।
একদিন অনুষ্ঠানে, তাঁর গাওয়া শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় সুবীর নন্দী স্যার ও ইমন সাহা ভাই তাঁর কন্ঠে “জটিলেসশর মুখোপাধ্যায়” এর গান শুনে বিমোহিত হয়েছিলেন।
বর্তমানে পঞ্চকবির গান করা হয় বেশি তাঁর। রজনীকান্ত, দিজেন্দ্রলাল রায়, নজরুলগীতি, লালনগীতি ইত্যাদি তিনি শৈশব থেকে চর্চা করে আসছেন।
২০১৩ সালে একটি মিক্সড অ্যালবামে তাঁর “নীল আচলে” গজল ঘারানার একটি গান বের হয়। অ্যালবামে নীল আচলে গানটি’র বেশ সাড়া পেয়েছিলাম।
বর্তমানে ২০২০ সালে দেশের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক “মাহমুদ সানি”র সংগীত পরিচালনায় একটি মিউজিক ভিডিও’র কাজ করেছেন তিনি। এই ঈদ উল আযহা ২০২০’কে কেন্দ্র করে জীবনের প্রথম মিউজিক ভিডিও বের করতে যাচ্ছেন তিনি। ৩০শে জুলাই তাঁর ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/RahulGomezMusic/ এই লিংকে এবং ইউটিউব চ্যানেল –
“Rahul Gomez” https://www.youtube.com/user/gomezrahul2011 চ্যানেলে তাঁর মিউজিক ভিডিওটি বের হতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, এই করোনা মহামারির কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করছের না তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন গান নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হবে। আগামী দিনগুলোতে জনগণের কাছে কিছু নতুন ধারার গান নিয়ে আসবেন সেই প্রত্যাশা তাঁর । সকলের কাছে তিনি দোয়াপ্রার্থী চান।
গানঃ যদি ডাকো আমায়।
গানের কথাঃ পংকজ ও বাবলু।
সুরঃ রাহুল গোমেজ।
সংগীত পরিচালকঃ মাহমুদ সানী।
অভিনয়েঃ রাহুল ও রিয়া
[wp1s id=”13319″]

































































