ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১১ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ঈদের ছুটি শেষে এসে দেখি বিদ্যালয় নেই

ঈদের ছুটি শেষে এসে দেখি বিদ্যালয় নেই

0
286

১৯ আগস্ট ঈদের জন্য বিদ্যালয় ১০ দিনের জন্য ছুটি হয়ে যায়। ছুটি শেষে বিদ্যালয়ে এসে দেখে, দুটি ভবনের শ্রেণি কক্ষগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন কোথায় তাদের পাঠদান করানো হবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। প্রিয় বিদ্যালয়টির এমন পরিণতি দেখে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সামনে তাদের সমাপনী পরীক্ষা। এমন সময় বিদ্যালয় নেই। এখন কি পড়ালেখায় মন বসবে! ঈদের ছুটি শেষে এসে দেখে বিদ্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি। পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ার কারণে বিদ্যালয়ের দুটি একতলা ভবন ৪০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। ঠিকাদার ভবন ও সীমানাপ্রাচীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে নিয়ে গেছেন।

নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের পাশে নড়িয়া পৌরসভার পূর্ব নড়িয়া এলাকায় ১৯৭২ সালে পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। যখন বিদ্যালয় ভবনটি ওই স্থানে নির্মাণ করা হয় তখন পদ্মা নদী প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর দিকে ছিল। ১৯৮৮ সালে একটি ও ২০০৮ সালে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা হয় বিদ্যালয়ে।

ওই বিদ্যালয়ে ১৩৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো হতো। ভাঙনের কারণে বিদ্যালয় ভবনের কাছে পদ্মা নদী চলে এসেছে। যেকোনো সময় ভবন দুটি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ওই স্থানে শিশুদের পাঠদান করানো ঝুঁকিপূর্ণ ভেবে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ভবন দুটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ওই ভবন দুটি নিলামে ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে।

পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার বলেন, ‘চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত কোথাও শিশুদের পাঠদান শুরু করার জন্য। নড়িয়ার সাবেক পৌর মেয়র হায়দার আলীর বাড়ির একটি ঘরে অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠদান কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা চলছে।’

নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম বলেন, ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবন দুটি যেকোনো সময় বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে নদীর তীর থেকে নিরাপদ দূরত্বে একটি জায়গায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করার।