শিরোনাম :
কমলগঞ্জে উৎযাপিত হলো ওয়ানগালা (ছবি)
সুবর্ণ পাথাং ॥ শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিঙ্গা গারো লাইনে উৎযাপিত হলো মান্দিদের সর্ববৃহৎ সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ওয়ানগালা-২০১৯।
৯-১০ নভেম্বর শ্রীচুক আচ্চিক আসং মাতব্বর এসোসিয়েশন ও শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর সহযোগিতায় এ বছর ৪র্থ তম ওয়ানগালা-২০১৯ উৎযাপিত হলো। এবছর নকমার দায়িত্ব পালন করেন মিরতিঙ্গার গারো লাইনের বড় মাতব্বর লেডিস দিও ও খামালের দায়িত্ব পালন করেন ফাদার গৌরব জি পাথাং সিএসসি এবং খামাল জনসন মৃ।
৯ নভেম্বর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মান্দিদের আগমন ঘটতে থাকে। রাতে গারোদের ঐতিহ্যবাহী রে রে, নাচ, গান ও সেরেনজিং এর মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পরের দিন ১০ নভেম্বর শুরু হয় মূল পর্ব। ওয়ানগালার খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার গৌরব জি পাথাং সিএসসি। তাকে সহযোগিতায় করেন শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসি, ফাদার ফ্রান্সিকো ও ফাদার দিগন্ত চাম্বুগং সিএসসি । খ্রিষ্টযাগের প্রার্থনা ও গান শুরু হয় সম্পূর্ণ মান্দি ভাষা দিয়ে । গির্জার শুরুতে খামালে দায়িত্বরত ফাদার গৌরব যীশু খ্রীষ্টের প্রতীক ক্রুশের মাথায় গারোদের সর্বোচ্চ সন্মানের প্রতীক কুতুপ পড়ানো হয়। মাল্যদান, ধূপ পুড়ানো ও গারো বারো গোষ্টির প্রতীক বারো মাতব্বরগণ মুসি বাতি প্রজ্জলন করেন।
গির্জার বেদিতে খামাল ফাদার গৌরব জি পাথাং ও শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর পালকপুরোহিত ফাদার নিকোলাস বাড়ৈ সিএসসিকে কুতুপ পরানো হয়। এরপর ফাদার দিগন্ত চাম্বুগং সিএসসি ওয়ানগালার তাৎপর্য্য তুলে ধরেন।
ফাদার গৌরব জি পাথাং তার বাণীতে অতীতের গারোদের কিছু জীবন প্রথা কাহিনী তুলে ধরেন। সেই সাথে ওয়ানগালার গুরুত্ব গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
[wp1s id=”10333″]