শিরোনাম :
উৎসবমুখর পরিবেশে সকল সদস্যের অংশগ্রহণে ঢাকা ক্রেডিটের বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
সকল সদস্যের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর ৬০তম বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু হয়েছে ফার্মগেট বটমলী হোম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।
৮ জানুয়ারি সকাল ১০:৩০ মিনিটে শুরু হওয়া ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব মো: আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সমবায় যুগ্মনিবন্ধক এসএম তারিকুজ্জামান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস্ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন, বাংলাদেশ ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের সভাপতি খ্রীষ্টোফার অধিকারীসহ আরো অনেকে।
বার্ষিক সাধারণ সভা সঞ্চালনা করছেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া। শুরুতে জাতীয়, সমবায়ী ও সমিতির পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবির ধারাবাহিকতায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ২১-এর (১) বিধি সংশোধনপূর্বক প্রতিস্থাপিত করে প্রতিনিধির পরিবর্তে নির্বাচন ও সাধারণ সভায় সদস্যদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এরই মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটসহ সকল সমবায় সমিতি ও সমবায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূর্ণতা লাভ করেছে।
তিনি ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সমানে এগিয়ে নিতে যারা সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানান।
সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব মো: আমিনুল ইসলাম ঢাকা ক্রেডিটের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট একটি মডেল। আমি যেখানেই যাই সেখানেই ঢাকা ক্রেডিটের কথা বলি। এই সমিতি আমার অহংকার। ঢাকা ক্রেডিটের মতো সমবায় সমিতি আছে বলেই নৌকা ডুববে না। সমবায়ের নৌকার মাঝি হিসেবে আমি গর্বিত।’
দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস (কাক্কো) লি:, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘সমবায়ে যাঁদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, তাঁদের নেতৃত্বে আনতে হবে। কিছু মানুষ না বুঝে সমালোচনা করে, তাদের বুঝাতে হবে।’ সাধারণ সভায় আরো উপস্থিত আছেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন টমাস রোজারিওসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঢাকা ক্রেডিটের হাজার হাজার সদস্য।
ঢাকা ক্রেডিট দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি স্বনামধন্য সমবায় প্রতিষ্ঠান। এই সমিতি প্রান্তিক সদস্যদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সদস্যরা এই সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে উৎপাদন মুখী কার্যক্রম করছে। ১৯৫৫ সালে যাত্রা করা ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমানে প্রায় ৪২ হাজার সদস্যের সাড়ে ৭ শ কোটি টাকা মূলধন রয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ কর্ম এলাকা হলেও দেশের আপমর জনগণ ঢাকা ক্রেডিটের সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমানে মেগা প্রকল্প গাজীপুর মঠবাড়ীতে ৩শ বেডের ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে এবং ২০২২ সালের মধ্যেই এই হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে।
এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের সর্বসাধারণের জন্য রয়েছে স্কুল, আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার, বিউটি পার্লার ও ট্রেনিং সেন্টার, জিম, সমবায় বাজার আউটলেট, কালচারাল একাডেমিসহ আরো অনেক অসংখ্য প্রকল্প।
ঢাকা ক্রেডিটই সর্বপ্রথম এবং একমাত্র সমবায় প্রতিষ্ঠান যেখানে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটালইজেশনের উদ্যোগের সাথে সংহতি জানিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিটের এটিএম সার্ভিস, ঢাকা ক্রেডিট অ্যাপ, সমবায় বাজার অ্যাপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করছে। ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে এ প্রায় সাড়ে ৬শ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা বেকারত্ব দূরীকরণের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।