শিরোনাম :
একটি কৃত্রিম পায়ের জন্য আয়েশার আকুতি
|| সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ||
সাতক্ষীরার তালা সদরে আগোলঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন। বর্তমানে আগোলঝাড়া দাখিল মাদরাসায় অষ্ঠম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে সে। তার বাবা ওমর আলী শেখ দিনমজুর। একটি ধানের চাতালে কাজ করেন।
চার বছর আগে আয়শার দুই ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চাপায় ডান পা থেতলে যায় । চিৎসার পর হাটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকেই ক্র্যাচ দিয়ে চলাফেরা করতে শুরু করে সে। চিকিৎসকরা একটি কৃত্রিম পা লাগানোর পরামর্শ দেন। তবে অভাব অনাটনের কারণে একটি কৃত্রিম পা লাগানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি আয়শার নিতান্ত দরিদ্র বাবা।
মাদ্রাসা ছাত্রী আয়শা খাতুন বলে, ‘চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় পাশের ডুমুরিয়া থানার চুকনগর এলাকার দুটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের মাঝখানে চাপা পড়ি আমার ডান পা থেতলে যায়। পরে চিকিৎসকরা আমার পা কেটে ফেলেন। চিকিৎসরা বলেছিলেন একটি কৃত্রিম পা লাগালে নাকি আমি স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারবো।’
আয়শা আরো বলে, ‘আমার বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি অর্থের অভাবে আমার জন্য কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করতে পারেননি। আমার ক্র্যাচ দিয়ে চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়।’
সে অনুরোধ করে বলে, ‘আপনারা আমার একটা কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেন যাতে করে আমি একটু ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারি ও পড়াশুনা করতে পারি।’
আয়শার ফুফা মোড়ল শাহিন বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের কাছে সহযোগিতার জন্য গিয়েছি, কোনো ফল হয়নি। সাভারে সিআরপি হাসপাতালে কথা বলেছি, সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কৃত্রিম পা লাগাতে প্রয় ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হবে। টাকা জোগাড় না হওয়ায় এখোনো পা লাগানো সম্ভব হয়নি আমার ভাইজির।’
তিনি আরো বলেন, ‘জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহযোগিতার জন্য গিয়েছি তারা, দেড় থেকে দুই হাজার টকা দেওয়া হবে সেটিও মৌখিকভাবে বলেছেন। আবেদন করেও কোন সহায়তা পাওয়া যায়নি।’
আয়শার বাবা ওমর আলি শেখ দুঃখ করে বলেন, ‘আমি কখনো ধানের চাতালে আবার কখনো মানুষের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাই। অভাবের সংসারে ৩০ হাজার টাকা একত্রে করা সম্ভব হয়নি আজও। হৃদয়বান কোন মানুষ সহযোগিতা করলে আমার মেয়েটি আবার স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবে।’
আরবি/এসসি/২২/০৭/২০১৯
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের নিকট বানোয়াট অভিযোগ করেছেন প্রিয়া সাহা: সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করছেন খ্রীষ্টিনা
বিদেশে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা চলে গেলে সমাজ একসময় মেধাশূন্যতায় ভুগবে: পংকজ গিলবার্ট কস্তা