শিরোনাম :
এগিয়ে চলেছে ঢাকা ক্রেডিটের ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি
প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল। গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানার মঠবাড়ীর কুচিলাবাড়ীতে ঢাকা ক্রেডিটের ক্রয়কৃত বাইশ বিঘা জমিতে নির্মিত হবে এই হাসপাতাল।
৭ এপ্রিল, বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা ক্রেডিটের কনফারেন্স হলে এ নিয়ে হাসপাতালের কনসালটেন্ট তিমির চক্রবর্তী ও পরামর্শক মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজের সাথে ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পর্ষদের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুস গমেজ।
এ সময় প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুস গমেজ বলেন, ‘খ্রিষ্টানদের কোনো হাসপাতাল নেই। মূলত আমাদের সমাজের ছেলে-মেয়েদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করেই এই হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল এবং তারপর মেডিকেল কলেজ এবং নার্সিং ইনষ্টিটিউট।’
প্রেসিডেন্ট গমেজ আরো বলেন, ‘নার্সিং ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে আমাদের ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং পরবর্তীতে যদি তারা চায় ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে কাজ করতে পারবে।’
হাসপাতালের পরামর্শক মেজর জেনারেল (অব:) জন গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ জানাই, কেননা এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে এই হাসপাতালে। এটি আমাদের জন্য আনন্দের সংবাদ।’
এরপর তিনি হাসপতালের জন্য ড্রইং, ডিজাইন এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলেন। এ সময় তিনি, কিভাবে এই হাসপাতালের কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে তা প্রজেক্টরের মাধ্যম উপস্থাপন করেন।’
কনসালটেন্ট তিমির চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার কোম্পানির করে দেওয়া কোনো প্রজেক্টর কখনো ব্যর্থ হয়নি।’
এ সময় আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্সিং ইনষ্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সিষ্টার নিবেদিতা এসএমআরএ নার্সিং স্কুল শুরু এবং পরিচালনায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
আলোচনা সভায় ইঞ্জিনিয়ার ষ্টিফেন ঘোষ, হাসপাতাল তৈরি করার পরে কিভাবে চলবে এবং ভবিষ্যতে কিভাবে এর খরচ বহন করা হবে, কোনো ক্ষতি হবার সম্ভবনা আছে কিনা, সে বিষয়ে সচেতন থাকার কথা বলেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের ওয়ার্ড এবং ব্লাড ব্যাংকের উপর তিনি গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘নার্সিং পেশা আমাদের খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে এসেছে।’
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন মেডিকেল কলেজ। এর জন্য প্রথমে আমাদের তৈরি করতে হবে হাসপাতল। বর্তমানে আমাদের খ্রিষ্টান সমাজের ছেলে-মেয়েরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মেডিকেলে পড়াশুনা করার বেশি সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের উদ্দেশে আমাদের এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করছি।’
এ ছাড়া আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, ডা. হেমন্ত গমেজ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর জন নিলু চাম্মুগং, ডিরেক্টর পিটার রতন কোড়াইয়া, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সলোমন আই. কোড়াইয়া এবং জোনাস বটলেরু ।
আরবি.আরপি.৭ এপ্রিল, ২০১৮