ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ এবার সাগরে ঘূর্ণিঝড় ভার্দাহ

এবার সাগরে ঘূর্ণিঝড় ভার্দাহ

0
312
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ভার্দাহ। এ নামপি প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান।
দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হল- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দরে এ ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আপাতত না থাকলে সাগরে থাকা জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। আবহওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারতের আবহাওয়াবিদদের বরাত দিয়ে দেশটির সাংবাদমাধ‌্যম বলছে, ডিসেম্বরের এই সময়ে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাতাসে প্রচুর জলীয়বাষ্প মিশবে, তাতে শীত বিলম্বিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরে অগ্রসর হয়ে আগামী চার দিনের মধ‌্যে অন্ধ্র উপকূলের দিকে যেতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে।বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পর উত্তুরে হওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
ডিসেম্বর মাসে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের শেষার্ধে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে।
শৈত্যপ্রবাহ মৃদু হলে বাতাসের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ এবং মাঝারি হলে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। ডিসেম্বরে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারী বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে।
সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা পরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘নাদা’য় পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টি পরে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে উপকূল অতিক্রম করার আগেই ২ ডিসেম্বর ফের নিম্নচাপে পরিণত হয়।
আরবি/আরপি/৮ ডিসেম্বর, ২০১৬