শিরোনাম :
কতটা পূরণ হবে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের জন্য আওয়ামী লীগের ইস্তেহার!
নির্বাচনের পূর্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ নানা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের জন্য নানা ইস্তেহার উপস্থাপন করেছিল।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল আসনে জয় লাভ করে পুনরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শফতও নিয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ টানা তিনবারের মতো দেশ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।
নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা তাকিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের দেওয়া ইস্তেহারের দিকে। কতটা পূরণ করতে পারবে তাদের দেওয়া ইস্তেহার…
কি ছিল সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে:
প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, কর্মসংস্থান নিশ্চত করার পাশাপাশি সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি এসেছে গত দশ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে।
ক্ষুদ্র নৃ–তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও অনুন্নত সম্প্রদায়
স্বাধীন দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছেন, তাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ও অনুন্নত সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের সমমর্যাদা ও অধিকার সুনিশ্চিত করেন। পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সংবিধান পরিবর্তন করে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হয়। ২০১১ সালে সংসদে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী পাস করে আওয়ামী লীগ ’৭২-এর সংবিধানের চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। সকল ধর্মের সমান অধিকার এবং দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-জাতিগোষ্ঠী ও উপজাতিদের অধিকার ও মর্যাদার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে ধর্মীয় ও নৃ-জাতিসত্তাগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান এবং তাদের জীবন, সম্পদ, উপাসনালয়, জীবনধারা ও সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য রক্ষার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আবারও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার-এই মর্মবাণীরই প্রতিফলন।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
- অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকৃত স্বত্বাধিকারীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
- জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ করা হবে।
- সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার ও বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভূমি কমিশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অনগ্রসর ও অনুন্নত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও চা-বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা এবং সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
- সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল প্রকার আইন ও অন্যান্য অন্যায় ব্যবস্থার অবসান করা হবে।
- ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকারের স্বীকৃতি এবং তাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ ও তাদের সুষম উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
এখন দেখার পালা কতটা পূরণ হতে যাচ্ছে ইস্তেহারের অঙ্গিকার।
আরবি.পিবি. ৫ জানুয়ারি ২০১৯