ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ

কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ

0
179

ডিসিনিউজ।।ঢাকা
‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের ১১২তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় মারা যান। সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

কবির জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

মায়ের কাছে শেখা পড়াশোনা আর মামার বাড়ির সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের বই পড়ে নিজেকে তিনি সুশিক্ষিত করে তুলেছিলেন। সুফিয়া কামালের জীবনে মোড় পরিবর্তন ঘটে সাত বছর বয়সে। এ সময় তিনি কলকাতায় বেড়াতে গিয়ে বেগম রোকেয়ার সাক্ষাৎ পান। বেগম রোকেয়ার বিরাট প্রভাব পড়ে তার জীবনে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সুফিয়া কামালের মামাতো ভাই নেহাল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৪ বছর বয়সে একটি ছোটগল্প প্রকাশিত হয় বরিশাল শহর থেকে প্রকাশিত ‘তরুণ’ পত্রিকায়। লেখাটি এক সময় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের চোখে পড়ে। নজরুল উৎসাহ দিতে দীর্ঘ চিঠি লিখেন কিশোরী সুফিয়াকে। এতে তার জীবনে ঘটে আরেক নতুন আশার জোয়ার। শুরু হয়ে এগিয়ে চলার।

অন্যদিকে সুফিয়া কামাল তার সাহিত্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আর্শীবাণীতে ধন্য হন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, কবি কামিনী রায় প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তিদের নিকটে আসার সুযোগ পান। এতে তার সামাজিক দৃষ্টি অনেকটা প্রসারিত হয়।
সুফিয়া কামালের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সাঁঝের মায়া’, ‘মায়া কাজল’, ‘মন ও জীবন’, উদাত্ত পৃথিবী’, ‘দীওয়ান ও মৃত্তিকার ঘ্রাণ’,। তার শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ- ‘ইতল বিতল’, ‘নওল কিশোরের দরবার’, গল্পগ্রন্থ- ‘কেয়ার কাটা’, ভ্রমণ- ‘কাহিনী’, ‘সোভিয়েতের দিনগুলি’, আত্মজীবনী- ‘একালে আমাদের কাল’, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি’, ‘একাত্তরের ডায়েরী’। মহিলা সমিতি ও এ দেশের প্রধান শিশু-কিশোর সংগঠন কচি কাঁচার মেলার তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তার গৃহাঙ্গনেই জন্মলাভ করে কচি কাঁচার মেলা। মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিরও তিনি ছিলেন প্রধান প্রাণপুরুষ।

সাহিত্য সংস্কৃতি কাজের জন্য তিনি একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক ও স্বাধীনতা পুরষ্কার অর্জন করেন।