শিরোনাম :
করোনায় বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমদের মৃত্যু
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির দুইবারের সভাপতি কামাল আহমদ(৬৯) নিউইয়র্কের স্থানীয় একটি হাসপাতালে রোববার ভোর রাত ৪.৩০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কুইন্সের এলমহার্স্ট হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কামাল আহমদের দেশের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাউরভাগ গ্রামে।
নিউইয়র্কের বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির বিশ্বস্ত দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মানবসেবায় নিজের সকল স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রবাসীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেন সিলেটের এই কৃতি সন্তান। নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্পৃক্ত থেকে প্রবাসীদের দাবি আদায়সহ সবসময় তাদের পাশে থেকে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করেছেন তিনি।
একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে নিউইয়র্কে স্বদেশিদের যে কোনো সমস্যায় তাঁকে ছুটে আসতে দেখা গেছে। কাগজপত্রহীন অভিবাসীর সমস্যা থেকে শুরু করে, হেইট ক্রাইমসহ নানা সমস্যায় পড়া স্বদেশিদের খোঁজ খবর নিতেন কামাল আহমেদ। বাংলাদেশ সোসাইটির দুইবারের সভাপতি হওয়ার আগে তিনি দুই দফা নিউইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টায় ফিলাডেলফিয়া নগরে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন নিজস্ব বাড়ি ক্রয় করে।
ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গ জনপদ থেকে ভাগ্যান্বেষণে নজির উদ্দিন আটলান্টিক পাড়ি দিয়েছিলেন। অজানার উদ্দেশ্যে দেশান্তরী এ পূর্বসূরির জের ধরে কামাল আহমেদের বাবা জিয়া উদ্দিন আহমেদ ১৯৭৫ সালে আমেরিকায় আসেন। ভর যৌবনে, ২৬ বছর বয়সে কামাল আহমেদ পারিবারিক অভিবাসনে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
দেশে থাকতেই রাজনীতি আর সমাজকর্মের প্রতি আকর্ষণ ছিল কামাল আহমেদের। প্রবাসী হওয়ার পর জড়িয়ে পড়েন কমিউনিটির নানা কাজ কর্মে। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত হোন। ২০১৩ সালে প্রথম দফা সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হোন। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় দফা সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন কামাল আহমেদ।
এদিকে কামাল আহমদের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ হলে প্রবাসীদের মধ্যে বিষাদ-বেদনা আর গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবিসহ শোক বাণী, শ্রদ্ধা, স্মৃতিচারণ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশিত হয়। (আওয়াজ বিডি)