শিরোনাম :
করোনা প্রতিরোধ
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল)
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এখন দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক মৃত্যু ১০০ জনের বেশী এবং মোট মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। বলতে হবে ‘ করোনা ভাইরাস, আর না, আর না।’ এ সময় আমাদের নিজেদের সবচেয়ে বেশী সচেতন থাকতে হবে যাতে এ ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে না পারে। যারা বিদেশ থেকে আসে তাদেরকে অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং দেশ-বিদেশ যাত্রা সীমিত করতে হবে অথবা বন্ধ করতে হবে।
এ সময় আমরা নিজেদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবো। মাস্ক ব্যবহার করবো। হাত ধুব ৪ ঘন্টা পর পর। হাঁচি-কাশি মানুষের সামনে দিবো না, আর যদি দিতে হয় তবে মুখ-নাক ঢেকে হাঁচি-কাশি দেবো। বড় বড় জমায়েত বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এ সময় এড়িয়ে চলবো। মানুয়ের সাথে হ্যান্ডশেক বা কোলাকোলি করা যাবে না। হ্যান্ডশেকের পরিবর্তে দু’হাত জোর করে নমস্কার দিবো। সকল খাবার ভালভাবে সিদ্ধ করে খাব। মরা পশু-পাখির সংস্পর্শে আসা যাবে না। এ সময় কাজ না ছাড়া ঘরে অবস্থান করবো এবং সবসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভেক্সিন দেয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ভেক্সিনের ১ম ও ২য় ডোজ প্রদান করা চলমান রয়েছে। ৪০ বছরের উর্ধ্বে যে কোন নাগরিক বাংলাদেশ সরকারের ‘ সুরক্ষা’ অ্যাপে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে এই ভেক্সিন নিতে পারবেন। যারা এখনও ভেক্সিন নেন নি তাদের অনুরোধ জানাবো এই ভেক্সিন নেয়ার জন্য।
করোনা প্রতিরোধে ভয়ের কোন কারণ নাই। আমরা নিজেরা সচেতন থাকলে করোনা আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না। আমরা বীরের জাতি। আশা করি, আমরা এ যুদ্ধেও জয় লাভ করতে পারবো।