শিরোনাম :
কর্মী উন্নয়নে ঢাকা ক্রেডিটের উদ্যোগ অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা :
প্রশিক্ষণ পরামর্শক নিয়োগের পর আজ ঢাকা ক্রেডিট সকল বিভাগীয় ম্যানেজার-ইনচার্জকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে অফিসিয়াল আচরণবিধি ও শিষ্টাচার-বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সমিতির প্রধান কার্যালয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকে গুড হলরুমে সারাদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সিও জোনাস গমেজ ও খোকন মার্ক কস্তাসহ মোট ১৭-১৮ জন ম্যানেজার-ইন-চার্জ এতে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা ত্রেডিটের বিভিন্ন বিভাগ ও সমিতির পরিচালনা কমিটির অনুভূত প্রত্যাশার ভিত্তিতেই এই আয়োজন।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ে সারাদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে কর্পোরেট পর্যায়ে কাজ করার উপযোগী করার লক্ষ্যে সমিতির ছয় শতাধিক কর্মীকে পর্যায়ক্রমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রশিক্ষক পরামর্শক মো: আসাদ বিন ইউসুফ।
অংশগ্রহণকারী ম্যানেজার-ইনচার্জগণ এই প্রশিক্ষণকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেন। তারা ডিসিনিউজকে জানান, এই প্রশিক্ষণ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠান আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। তারা বলেন, ‘এখন সমিতির কর্মপরিকৎল্পনা পূর্বের গতানুগতিক ধারার চেয়ে অনেক অনেক ভিন্ন, অনেক বড়।
প্রশাসন এন্ড এইচআর বিভাগের ম্যানেজার ডিউক মজুমদার সব্যসাচীর উপস্থাপনায় এবং পরামর্শকের তত্ত্বাবধানে সকাল ৯টায় প্রশিক্ষণের সূচনা হয়।
সারাদিনের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার ছিল অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দুজন করে আলোচনার ভিত্তিতে একজন কর্তৃক অন্যজনের পরিচিতি প্রদান, প্রথম সাক্ষাতে মানুষের অফিসিয়াল পরিচিতি, অফিসের নানাবিধ কোড অব কন্ডাক্ট, করমর্দন, শুভেচ্ছা বিনমিয় কৌশল, মুখের ভাষা ও শারীরিক ভাষার ব্যবহার, অফিসিয়াল পরিবেশে কীভাবে দাঁড়াতে হয়, কীভাবে কথা বলতে হয়, কীভাবে অধীনস্থদের কোনো বিষয়কে ইতিবাচকভাবে ‘না’ বলা যায়, ‘আমি’ থেকে কীভাবে ‘আমরা’ উচ্চারণ করলে টিম স্পিরিট বৃদ্ধি করা হয়- ইত্যাদি বিষয়ে অনুশীলনসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিও ডিসিনিউজকে জানান, ঢাকা ক্রেডিট প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানকে যদি সুষ্ঠুভাবে চালাতে হয়, তবে ম্যানেজারসহ নারী-পুরুষ সকল কর্মীর মধ্যে পেশাদারিত্ব আনতে হবে। আগে পেশাদারিত্ব রপ্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ম্যানেজার ও কর্মীদেরই সর্বাগ্রে পেশাদারিত্ব দরকার। ঢাকা ক্রেডিটের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে মূলত সমিতির নারী-পুরুষ সকল সদস্যেরই উন্নয়ন ঘটবে।
অফিস জীবনে কীভাবে অন্যান্য কর্মীর সাথে সম্পর্কোন্নয়ন করা যায়, কীভাবে কর্মীদের অরো বেশি কার্যকর করা যায়- সেসব বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়। প্রতিটি আলোচনার পাশাপাশি ছিল সংক্ষিপ্ত দলীয় আলোচনা ও প্রর্যায়ক্রমিক রির্পোট পেশ। রির্পোর্ট পেশের পর তাকে প্রশ্নবাণে জর্জতি করারও সুযোগ ছিল অন্যসব অংশগ্রহণকারীদের।
একটি ফর্মের মাধ্যমে সকল কর্মীর মূল্যায়ন ও মতামত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তাতে ভবিষ্যৎ প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা করতে সহজ হবে বলে জানান পরামর্শক আসাদ বিন ইউসুফ। অংশগ্রহণ করেছেন, এমন একজন বিভাগীয় ম্যানেজার ডিসিনিউজকে জানান, কর্পোরেট পর্যায়ে কর্মীকৈ কার্যকর করতে হলে এই প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন।