ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ga_01 কাথলিক মন্ডলীর উদ্যোগে উদযাপিত হলো বিশ্ব যোগাযোগ দিবস

কাথলিক মন্ডলীর উদ্যোগে উদযাপিত হলো বিশ্ব যোগাযোগ দিবস

0
549

বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সামাজিক যোগাযোগ কমিশন ও খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের উদ্যোগে উদযাপিত হলো বিশ্ব যোগাযোগ দিবস ২০১৮।

দিনটি উদযাপনের মূলসুর ছিল: ‘সত্য তোমাদের স্বাধীন করে দেবে (যোহন ৮:৩২); ভুয়া সংবাদ রোধ এবং শান্তির জন্য সাংবাদিকতা’। পোপ ফ্রান্সিসের দেওয়া এই থিমের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিপুল উৎসাহে উদ্যাপন করা হয় এই দিবসটি।

ঢাকার আসাদগেটে ২ জুন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর হলরুমে প্রায় দুই শতাধিক খ্রিষ্টভক্তের অংশগ্রহণে এই দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় ভাতিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি ও সভাপতি হিসেবে ছিলেন ফাদার প্রশান্ত থিওটোনিয়াস রিবেরু।

ভাতিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি তাঁর বক্তব্যে পোপ ফ্রান্সিসের দেওয়া থিমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মানুষের মাঝে শান্তি , সম্প্রীতি ও একতার বন্ধন সুদৃঢ় করার আহবান জানান। বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সামাজিক যোগাযোগ কমিশন ও খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের নেতৃত্বে মানুষের মাঝে শান্তি স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তিনি তার ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং এই ধারাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ বিশ্ব যোগাযোগের বিষয়টিকে পরিবারের সাথে সম্পর্কযুক্ত করে বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের এপার্টমেন্টের মধ্যে একের সাথে অন্যের, এক পরিবারের সাথে অন্য পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করে সকল সম্প্রদায়কে ছাপিয়ে গিয়ে এই যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য তিনি সবাইকে তাগিদ জানান।

খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের বিশ্ব যোগাযোগ দিবস উদযাপন করার এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টজনদের অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানান কাককোর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও। যোগাযোগের অগ্রগতির ধারাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যোগাযোগের অগ্রগতির এই সুযোগকে আমাদের ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে আমাদের খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধের ধারাকে প্রচার করতে হবে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের খ্রিষ্টীয় দর্শন ও আদর্শ প্রকাশ করে আমাদের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে।’

শিখা অনির্বানের সম্পাদক চিত্ত ফ্রান্সিস রিবেরু যোগাযোগের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে মানব সৃষ্টির পর মানুষের সাথে ঈশ্বরের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে উল্লেখ করেন। তখন কোনো সম্প্রদায় ছিল না। পরে যিশুর আগমন ও তাঁর শিক্ষার আলোকে যারা উদ্বুদ্ধ, তাদের কর্তব্য যিশুর শিক্ষা ও দর্শন যোগাযোগের সুবিধাগুলো ব্যবহার করে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান। সাপ্তাহিক প্রতিবেশী এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের পরিচালক ফাদার আগস্টিন বুলবুল রিবেরু। তিনি দ্বিতীয় ভাতিকান মহাসভার পর যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের উল্লেখ করে বর্তমান ডিজিটাল মিডিয়াকে ঈশ্বরের একটি বিশেষ দান হিসেবে উল্লেখ করেন। ‘আমাদেরকে এর পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। পোপের থিমকে বাস্তবায়ন করার একটি সুন্দর উপায় এবং সুযোগ বর্তমান গণমাধ্যম।’

বিশেষ অতিথি এবং বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এলবার্ট বাড়ৈ, সাবেক সচিব উইলিয়াম অতুল কুলুন্তুনু, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়াওসহ বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

দিনটি উদযাপনে ছিল অতিথিদের আসন গ্রহণ, শিশুদের উদ্বোধনী নৃত্য, দিনের তাৎপর্য নিয়ে প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য, সাধারণের মুক্ত আলোচনা, গত বড়দিনে বিটিভিতে বাণীদীপ্তির প্রচারিত অনুষ্ঠানের মাল্টিমিডিযার মাধ্যমে প্রদর্শন, সকল অতিথি মিলে কেক কেটে উপস্থিত সকল খ্রিষ্টভক্তকে বিতরণ। পরে বানীদীপ্তির শিল্পীরা মিলে একটি গান পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে জেমস সুনীল বিশ্বাসের লিখিত ‘জীবনের গল্প’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং গত বড়দিনে বাণীদীপ্তির তৈরি প্রেগ্রামের সঙ্গে জড়িত সকল কলাকুশলীকে বিটিবিতে প্রচারিত প্রোগামের সিডি উপহার দেওয়া হয়।

আরপি,আরআর,২জুন২০১৮