শিরোনাম :
কারিতাস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্যাগ ও সেবা অভিযান এবং কারিতাস রবিবার উদযাপন
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
‘একসাথে পথ চলি, মিলন সমাজ গঠন করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু করা হয় ত্যাগ ও সেবা অভিযান এবং উদযাপন করা হয় কারিতাস রবিবার। ১৯ মার্চ মালিবাগস্থ কারিতাস বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চার ধর্মের ধর্মীয় নেতা যথাক্রমে কেওয়াচালা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্যাট্রিক শিমন গমেজ, ইসলামিক স্কলার, গবেষক, লেখক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আবদুল হক, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী দেবধেনান্দ মহারাজ, বাসাবো বৌদ্ধ বিহারের ভান্তে কল্যাণ জ্যোতি থের, কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও, পরিচালক (কর্মসূচি) সুক্লেশ জর্জ কস্তা, পরিচালক অর্থ ও প্রশাসন (মনোনীত) রিমি সুবাস দাশ, পরিচালক, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (সিডিআই) থিওফিল নকরেকসহ কারিতাস বাংলাদেশের কেন্দ্রীয়, সিডিআই ও সিএইচএনএফপি’র কর্মী ও কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান কারিতাসের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও। তিনি বলেন, ‘এ বছর ত্যাগ ও সেবা অভিযান এবং কারিতাস রবিবারের মূলসুর নির্বাচন করা হয়েছে একসাথে পথ চলি, মিলন সমাজ গঠন করি। আমরা অবগত মাতা মন্ডলী বিশপগণের সিনোড আয়োজন করছে। সিনোডের মূলসুরের সঙ্গে এই মূলসুরের মিল রয়েছে। এক সাথে পথ চলা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক সাথে পথ চলতে হলে আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, অন্যের কথা শুনতে হবে।’
প্রধান অতিথি কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘ত্যাগ ও সেবা অভিযান ও কারিতাস রবিবার কারিতাস বাংলাদেশের একটি আধ্যাত্মিক কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সবাই আরও বেশি সৃষ্টিকর্তা ও দরিদ্র মানুষের দিকে মনোযোগী হই। মানব ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আমরা এই জগতে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারি।’
চার ধর্মের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ মূলসুরের ওপর যার যার ধর্মের আলোকে সহভাগিতা করেন। তারা সকলেই অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহমর্মীতা ও সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করেন পবিত্র রোজারিও, নূর জাহান সুলতানা, মেইনথিন প্রমিলা ও শেখর চন্দ্র বনিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চয়ন হিউবার্ট রিবেরু ও শিবা মেরী ডি’রোজারিও। পরিশেষে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন।
একই দিন কারিতাস বাংলাদেশের সকল কর্মএলাকায় অবস্থিত প্রতিটি অফিসে ত্যাগ ও সেবা অভিযান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয় এবং কারিতাস রবিবার উদযাপন করা হয়। এই সময় সারা দেশে ২২৮জন কর্মী-কর্মকর্তাকে কারিতাস বাংলাদেশে দশ, পনের, বিশ ও পঁচিশ বছর সেবা দেওয়ার জন্য লং সার্ভিস এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে কারিতাস কেন্দ্রীয় অফিসে অনুষ্ঠানে কারিতাস বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ২৩ জন ও সিডিআই’এর ৪জন কর্মী-কর্মকর্তাকে লং সার্ভিস এওয়ার্ড প্রদান করা হয় ।