ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ কালবের এজিএম: দুর্নীতিবাজদের বিচার দাবি ও অর্থ আদায়!

কালবের এজিএম: দুর্নীতিবাজদের বিচার দাবি ও অর্থ আদায়!

0
374

সময়ের এবং সাধারণ জনগণের প্রয়োজনে করাপশন বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলে কাল্বের বার্ষিক সাধারণ সভায়(এজিএম) মন্তব্য করেন দেশের সর্ববৃহৎ ক্রেডিট ইউনিয়ন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।

২০ অক্টোবর (শুক্রবার) শাহবাগের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন-বাংলাদেশ অডিটরিয়োমে সকাল ১০টায় দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কাল্ব) এর ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরূহা সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন কালবের চেয়ারম্যান জোনাস ঢাকী। এ ছাড়াও এদিন আরো উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহা পরিচালক মো. আব্দুল মজিদ, সাবেক সচিব ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ধীরাজ কুমার নাথ, সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদ, দেশের সর্ববৃহৎ ক্রেডিট ইউনিয়ন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, কালবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিওসহ দেশে বিভিন্ন প্রান্তের সমবায়ের কর্মকর্তা প্রতিনিধি।

এজিএমে কালবের বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতিগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা এবং সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে বিগত বোর্ডের সাইমন এ. পেরেরা এবং রতন এফ. কস্তাসহ অন্যদের যে নজিরবিহীন দুর্নীতি (শত কোটি পরিমানের বেশি অর্থ লোপাট) এবং এর ফলে অন্যান্য ক্রেডিট ও সদস্যদের যে ক্ষতি তাই ছিল এই এজিএমে সকলের মাথা ব্যাথার প্রধান কারণ।

সাধারণের এই ক্ষতি নিয়ে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট গমেজ সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং এসব দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের নিকট থেকে লোপাট হওয়া অর্থ আদায় করা ও তাদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বর্তমান বোর্ডের কাছে।

02তার সাথে এজিএমে উপস্থিত সকলেই একমত প্রকাশ এবং সকলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিগত বোর্ডের দুর্নীতির প্রতিবাদে।

সাধারণ জনগণ এ সময় তাদের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আপনাদের আমরা এইসব চেয়ারে বসাই। আর আপনারা যদি এমন করেন, তাহলে মানুষের ভাল হবে কী করে! আপনাদের উপর আস্থা রেখে, আবার আপনাদের প্রতিনিধিত্ব দিয়েছি। আশা করি লোপাট হওয়া অর্থ আদায়সহ তাদের শাস্তির বিধান করবেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সুলতানা বলেন, ‘আপনারা সচেতন হলেই সমবায়ে দুর্নীতি হবে না।’ সমবায়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা আনতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, কালবে দুর্নিতীর জন্য জিরো টলারেন্সনীতি আনতে হবে এবং গভীরে গিয়ে কাজ করতে হবে।

এজিএমে প্রতিনিধিদের সবচেয়ে বড় দাবিই ছিল লোপাট হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা।

এ দিন প্রথমে আসনগ্রহণ, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন, ধর্মগ্রন্থপাঠ, বিগত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন, প্রস্তবনা, বাজেট অনুমোদনসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়।

আরবি/আরপি/২১ অক্টোবর, ২০১৭