শিরোনাম :
গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ফাদার আলবিনুসকে শেষ বিদায়
দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশীয় যাজক আলবিনুস টপ্য হাজারো খ্রিষ্ট ভক্ত ও স্বজনদের কাঁদিয়ে পৃথিবীর বন্ধন ছিন্ন করে চলে গেলেন পরম পিতার কাছে।
২৬ মার্চ, দুপুর আড়াই টায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক অসুস্থ্যতাজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ভক্তজনগণ ও স্বজনদের শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে তাঁর মরদেহ একদিনের জন্য দিনাজপুর বিশপ হাউসে রাখা হয়।
২৭ মার্চ, সকাল ১০ টায় বিশপ সেবাষ্টিয়ান টুডু দিনাজপুরের কাথিড্রাল গির্জায় খ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে ফাদার আলবিনুসকে শেষ বিদায় জানান। খ্রিষ্টযাগে খ্রিষ্টভক্তসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা করে। বিশপ স্মৃতি চারণে ফাদার আলবিনুসের সকল গুণাবলীর কথা স্মরণ করে বলেন ‘ফাদার আলবিনুস অত্যন্ত মিশুক, সহজ সরল, সদা হাস্যজ্জল ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। এ ছাড়াও পরিবারের লোকদের প্রতি বিশপ টুডু গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
দুপুর ১২টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফাদার আলবিনুসের মরদেহ উন্মুক্ত ভাবে গির্জার সামনে রাখা হয়। সেখানে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, ভক্ত, স্বজনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেত হয় ফাদার আলবিনুসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও শেষ বিদায় জানানোর জন্য।
বেলা ২টায় কাথিড্রালের স্থানীয় খ্রিষ্টান কবরস্থানে ফাদারকে সমাধি দেয়া হয়।
দীর্ঘ দিন যাবৎ ফাদার আলবিনুস অসুস্থ ছিলেন ডায়বেটিক ও কিডনি রোগে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফাদার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশীয় শিক্ষা কমিশনের সেক্রেটারি ও সেন্ট ফিলিপস স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি তাঁর জীবনকালে দিনাজপুর ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে নিষ্ঠার সাথে পালকীয় সেবা কাজ করেছেন। এ ছাড়াও ১৯৯৮-১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বনানী উচ্চ সেমিনারিতে শিক্ষকতা করেছেন।
২ এপ্রিল, ১৯৫৬ সালে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মারিয়ামপুর ধর্মপল্লীর অধীনস্থ ইটপির গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা প্রয়াত আমব্রোস টপ্প্য ও মাতা আগাথা মিন্জি।
২৪ জানুয়ারি, ১৯৮৮ সালে মারিয়ামপুর ধর্মপল্লীতে যাজকাভিষেক লাভ করেন। তিনি মিশরের কায়রোতে আরবী ভাষা শিখেন ও ইসলাম ধর্মের উপর পড়াশুনা করেন।
আরবি.আরপি.২৮ মার্চ, ২০১৮