শিরোনাম :
গোল্লা মিশন যুব সংঘের ৩৪তম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
গোল্লা মিশন যুব সংঘের ৩৪তম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করার লক্ষে চারদিনব্যাপী ৩৪তম শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ আগস্ট (শুক্রবার) সন্ধ্যায় গোল্লা মিশন যুব সংঘ কর্তৃক আয়োজিত গোল্লা ধর্মপল্লীতে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গোল্লা যুব সংঘের সভাপতি এন্ড্রু উৎস গমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোল্লা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার ষ্ট্যানলী কস্তা।
প্রধান অতিথি ফাদার ষ্ট্যানলী কস্তা বলেন, ‘সাধনা ব্যতীত জীবনের উৎকর্ষ হয় না। প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি নির্দিষ্ট সাধনার আঙ্গিনা থাকতে হয়। আজকে যারা পুরস্কার পেতে যাচ্ছে তারা তাদের সাধনার ফল পেতে যাচ্ছে।’
বিশেষ অতিথি ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘খ্রিষ্টানরা সুদূর প্রসারী চিন্তা করে ১৯৭৫ সালে ঢাকা খ্রীষ্টান ছাত্র কল্যাণ সংঘ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অথবা প্রতিভার অন্বেষণ শুরু করেছিল। লক্ষ্য ছিল সারা বাংলাদেশের ছাড়নো-ছিটানো প্রতিভাগুলোকে একত্রিত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ করে দেওয়ার।’
বিশেষ অতিথি গমেজ সংঘের সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ রাখেন সেরা প্রতিভাবানদের যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। তারা যেন বাংলার সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন-পালন করতে পারে।
পিতা-মাতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রেখে বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘আপনাদের সন্তাদের প্রতিভাগুলোর বিকাশ করতে উৎসাহ ও সাহায্য করবেন।
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় আঠারোগ্রাম অঞ্চলের ১৩৬জন প্রতিযোগী ছয়টি বিভাগে ১০টি বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর রতন পিটার কোড়াইয়া, ক্রেডিট কমিটির সদস্য ডমিনিক রঞ্জন গমেজসহ গোল্লা ধর্মপল্লীর খ্রীষ্টভক্তগণ।