শিরোনাম :
গোয়েন্দা মেনু’দা (দ্বিতীয় অংশ)
রবীন ভাবুক
বাইরে চলে এলো। বাড়ির উত্তরের জঙ্গলটা পেরিয়ে একটা ঢিবির উপর আসতেই দেখলো, বাড়ির কাজের ছেলে মিহির দাপাতে দাপাতে ছুটে আসছে। ওরা কাছে গিয়ে তো অবাক! পল্টু বললো-
– একি মিহির তোমার মুখ-হাত ফুঁলে এমন চাল কুমড়া হলো কি করে? কি হয়েছে? তোমার হাতে কি হয়েছে? ছিলে গেছে কিভাবে?
– খোকা বাবু, আমি গরু বাঁধতে গিয়ে মৌমাছির কামড় খেয়েছি। ওই দিকে যেয়ো না। তাহলে তোমাকেও কামড়াবে। আমি এখন যাই। খুব ব্যথা করছে।
মিহির হনহনিয়ে চলে গেল। মেনুদা বললো-
– গাধা কোথাকার, গরু বাঁধতে গিয়ে মৌমাছির বাসার কাছে কেন যায়! বোকামি করলে কামড় খাবে না। চলো শুভ সামনে যাই।
ওরা সামনে যেতেই দেখলো একটা আমড়া গাছে অনেক গুলো ভ্রমর ভনভন করে উড়ছে। মেনুদা বললো-
– চলো চলো। এখান থেকেই ওই গাধাটা কামড় খেয়েছে। তাড়াতাড়ি সরে পড়ি, তা না হলে আমাদেরকেও ছাড়বে না।
কিছুক্ষণ বাদে ওরা বাড়ি চলে এলো। কোন কিছুই মাথায় খেলছে না। ওরা এসে ঠাকুমার কাছে গিয়ে বসে রইলো। ঠাকুমা মূর্তিটি রাখার বাক্সটা হাতে নিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে। পল্টু বললো-
খুব খিদে পেয়েছে। বলে মিহিরকে জোরে ডেকে বললো-
– মিহির তাড়াতাড়ি কিছু খেতে দাও, আমাদের খিদে পেয়েছে।
পল্টু এবার ঠাকুমাকে বললো-
– কিভাবে হারালো ওটা ঠাকুমা?
– যা ভাগ বদমাশ। আমি মরি মনের কষ্টে আর ও এসেছে জানতে। শুভ বললো-
– আহা একটু বলোই না কিভাবে হলো?
– আরে কাল খাবার পর রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চশমাটা খুলে রেখেছি। হঠাৎ ও ঘরে শব্দ পেয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি একটা বিদঘুটে মাথা মোটা কে যেন বাক্সটা থেকে ওটা বের করছে। (চলবে)
আরবি/আরপি- ৩০ অক্টোবর, ২০১৬