শিরোনাম :
কারিতাসের উদ্যোগে ‘গ্লোবাল এ্যাকশন উইক ফর মাইগ্রেন্টস্ এন্ড রিফুজিস্’ পালন
২০ জুন (বুধবার) রাজধানীর মিরপুরে মটস্ অডিটোরিয়ামে কারিতাস মিরপুর ক্যাম্পাসের উদ্যোগে “গ্লোবাল এ্যাকশন উইক ফর মাইগ্রেন্টস্ এন্ড রিফুজিস্” অনুষ্ঠান পালিত হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় সর্বজনীন প্রার্থনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে কারিতাস ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক জ্যোতি গমেজ বলেন, পোপের ‘শেয়ার দ্যা জার্নি’ ক্যাম্পেইনের একটি অংশ এটি। সারা বিশ্বে যতগুলো দেশে কারিতাস আছে, তার মধ্য দিয়ে কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজ “গ্লোবাল এ্যাকশন উয়িক ফর মাইগ্রেন্টস্ এন্ড রিফুজিস্” প্রোগ্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সারা বছরের বিভিন্ন কার্যক্রমগুলোর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে আহ্বান করছি অভিবাসী ও শরণার্থীদের ব্যাপারে আরো সংবেদনশীল হয়ে ওঠার জন্য।’
‘সারা বিশ্বের সকল রাষ্ট্রগুলোকে এবং রাষ্ট্র প্রধানদেরকে আহ্বান করা হচ্ছে, যাতে তার অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার ও সুরক্ষার ব্যাপারে একযোগে কাজ করে।’ বলেন পরিচালক জ্যোতি গমেজ।
প্রতিটি দেশ অভিবাসী ও শরণার্থীদের রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের পরামর্শ, দিক নির্দেশনা, নিয়ম-নীতি কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজকে দিবে। কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজ সেগুলো একত্র করে একটি প্রস্তাব জাতিসংঘে দিবে। যা অভিবাসী ও শরণার্থীদের রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আর্ন্তজাতিক দলিল হিসাবে কাজ করবে। তারই লক্ষ্যে এক বছর ধরে কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজকে কাজ করছে। যা এ বছেরর শেষ নাগাদ দেয়া হবে।
মটসের পরিচালক আখিলা ডি’রোজারিও বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অনেক শিশু আছে পিতা-মাতাহীন। কারিতাস ইন্টারন্যাশনালিজের যে উদ্দেশ্য, এটা একটি আর্ন্তজাতিক দলিল হিসেবে কাজ করবে এবং সব দেশ সেখানে স্বাক্ষর করবে। যার মধ্যে দিয়ে অভিবাসী ও শরণার্থীদের অত্যাচার ও নীপিড়ন বন্ধ হবে, আমরা এই আশা করছি।’
পরে মটস্ প্রাঙ্গণে র্যালি ও মানব বন্ধনের মধ্যে দিয়ে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সিটিএসপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ডমিনিক দিলু পিরিছ, সিএইচএনএফপির ম্যানেজার মার্গারেট জ্যোৎসনা গমেজ এবং কারিতাস ও মটসের কর্মীবৃন্দ।
“গ্লোবাল এ্যাকশন উইক ফর মাইগ্রেন্টস্ এন্ড রিফুজিস্” ১৭ জুন থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর “শেয়ার দ্যা জার্নি”র উদ্বোধন করেন।
আরবি. আরপি. ২১ জুন, ২০১৮