শিরোনাম :
চলে গেলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান!
৮০ বছর বয়সে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান চলে গেলেন মৃত্যুর কোলে। সুইজারল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই নোবেল জয়ী। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
১৮ আগস্ট, শনিবার কফি আনান ফাউন্ডেশনের টুইটার পেইজ থেকে কফি আনানের মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করা হয়।মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য নোবেল পুরস্কারজয়ী কফি আনান মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান নিয়েও কাজ করছিলেন।
কফি আনান হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান, যিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে তিনি জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করেছেন।
১৯৩৮ সালে ঘানায় জন্ম নেওয়া কফি আনান জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব ছিলেন। কর্মী হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দিয়ে তিনিই প্রথম সংস্থাটির শীর্ষ পদে আসীন হয়েছিলেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থা টুইটারে লিখেছে, আজ আমরা এক মহৎ প্রাণ, নেতা ও স্বপ্নদর্শী মানুষ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে হারানোয় শোকাচ্ছন্ন।
২০০৭ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক নেতাদের গ্রুপ দ্য এলডারস’র প্রতিষ্ঠা হলে এর সদস্য হন কফি আনান। ২০১৩ সালে ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০১ সালে জাতিসংঘ এবং কফি আনান যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৬ সালে মহাসচিবের দায়িত্ব ছাড়ার পর সিরিয়া সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এছাড়া রাখাইনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকার গঠিত কমিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আনান কমিশন নামে পরিচিতি পাওয়া ওই কমিশন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ৮৮টি সুপারিশ করে। গত বছরের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে আনান কমিশনের সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক নেতাদের গ্রুপ দ্য এলডারস’র প্রতিষ্ঠা হলে এর সদস্য হন কফি আনান। ২০১৩ সালে ওই গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০১ সালে জাতিসংঘ এবং কফি আনান যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
আরবি.এইচআর. ১৮ আগস্ট ২০১৮