শিরোনাম :
চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে পালিত হলো পহেলা বৈশাখ
বাংলার ঐতিহ্য, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবতাবোধকে লালন করার লক্ষ্যে আজ (১৩ এপ্রিল) ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে পালিত হলো পহেলা বৈশাখ।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেটের মনিপুরীপাড়ায় সকাল ১০টায় ঢাকা ক্রেডিট পরিচালিত ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সর্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ পালিত হলো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেন্টারে প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিক্স সকলকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, শিশুরা যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বাঙালি ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের পহেলা বৈশাখ পালন করা হচ্ছে। প্রিন্সিপাল সকল অভিভাবককে উপস্থিত হওয়ার জন্য এবং স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর রূপন পিউরীফিকেশন বলেন, কর্মজীবী মা-বাবাদের শিশুদের নিরাপদে ও সুন্দর পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়। এখানে প্রতিদিন শিশুদের নির্দিষ্ট পাঠদান, খেলাধুলা, অংকন ইত্যাদি বিষয়ে সময়মাফিক শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, এই সেন্টারের শিক্ষকদের সিঙ্গাপুর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষার পাশাপশি শিশুরা যেন আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছি।
ঢাকা ক্রেডিটের চিফ অফিসার সুইটি সিসিলিয়া পিউরীফিকেশন বলেন, পহেলা বৈশাখ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পালিত হয়। তাই শিশুদের মধ্যে জীবনের উষালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের সৃষ্টির লক্ষ্যে সকল জাতীয় উৎসব পালন করা হয় এই সেন্টারে।
শিশুরা নাচ, গান ও ছড়া আবৃতি ও অংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তোলে। আর্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজনের হাতে উপহার তুলে দেন চিফ অফিসার সুইটি পিউরীফিকেশন।
একজন ছেলেশিশুর মা শারমিন জাহান এমন অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করেই তার ছেলের নাম ‘বর্ণিল’ রাখা হয়েছে। ‘আমাদের শিশুরা দেশীয় ঐতিহ্যে ও কৃষ্টিতে বেড়ে উঠবে। আজকের এই অনুষ্ঠান তাদের কচি মনে স্থায়ী দাগ কাটবে। ধীরে ধীরে তারা আমাদের কুষ্টি-কালচারকে ধারণ করবে।’
এই অনুষ্ঠানে শিশুদের অভিভাবকেরাও শিশুদের সাথে নাচ-গানে মেতে ওঠেন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যকে ধারণ করে দিনটিকে আরো বেশি আনন্দময় করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে ৩০ জন শিশুসহ তাদের পিতামাতা, নানানানী ও অভিভাবকগণ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।