শিরোনাম :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠান
ডিসিনিউজ।।ঢাকা
২৩ মে সকাল ৬ ঘটিকায় তেজগাঁও গির্জায় বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খ্রীষ্টযাগে উপস্থিত ছিলেন খ্রীস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের (বিসিএ) প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যান ট্রাষ্ট্রের ট্রাষ্টি ড. বেনেডিক্ট আলো রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির সদস্য উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের চীফ অফিসার জোনাস গমেজসহ অন্যান্য খ্রিষ্টভক্তগণ। খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন তেজগাঁও চার্চের সহকারী পাল-পুরোহিত ঝলক দেশাই।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে করেছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’। আর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। সে বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।