শিরোনাম :
জাতিসংঘের তদন্ত উদ্যোগকে মিয়ানমারের না
মিয়ানমারের রাখাইন অধ্যুষিত এলাকায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে সে দেশের সরকার। এর জবাবে তারা বলছে, এ ধরনের তদন্ত কেবল দ্বন্দ্বই বাড়াবে। খবর এএফপির।
২৪ মার্চ, শুক্রবার জেনেভাভিত্তিক জাতিসংঘের এ সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশটিতে তদন্ত দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।
গত বছরের অক্টোবরে রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের এক সীমান্তচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় মিয়ানমারের পুলিশের নয় সদস্য নিহত হন। এরপর সেখানে ব্যাপক অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানের পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া এসব শরণার্থী জাতিসংঘের তদন্তকারীদের কাছে তাদের ওপর চলা ভয়াবহ নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে। নির্বিচার শিশু হত্যা, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা এবং গণধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে।
এসব অভিযোগ মিয়ানমারের এক বছর বয়সী বেসামরিক সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। এসব ঘটনার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি ওঠে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের তদন্ত দল তৈরির বিরোধিতা করে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি তদন্ত দল তৈরির চেষ্টা এ সমস্যার সমাধান না করে বরং এ সমস্যাকে আরও উসকে দেবে।’
মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে একটি নিজস্ব তদন্ত দলের মাধ্যমে সম্ভাব্য অপরাধের তদন্ত করছে এখন। তবে মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এই তদন্ত দলকে প্রত্যাখ্যান করে একে ‘নখদন্তহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সামিরক বাহিনীর সাবেক জেনারেল মিন্ত শোয়ে ওই তদন্ত দলের নেতৃত্বে আছেন।
রাখাইন রাজ্যে গত অক্টোবরে শুরু হওয়া সামরিক অভিযান রোহিঙ্গাদের ওপর চলে আসা ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ। দেশহীন এসব মানুষকে বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমার সরকার নাগরিক বলে মনে করে না। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা নিপীড়নের পর থেকে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় শিবিরে বাস করছে।
এসএস/আরবি/২৫ মার্চ, ২০১৭