শিরোনাম :
টেকসই সমাজ উন্নয়নে সমবায়
|| হিমেল রোজারিও ||
সাধারণ অর্থে সমবায়ের অর্থ হলো সকলে একত্রিত হয়ে কাজ করা। সময়ের উৎপত্তি হয়েছিল গরীব ও ভূমিহীন কৃষকের সুবিধার লক্ষে। সমবায়ের মূলনীতি বা স্লোগান হচ্ছে ‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবিতাই লিখেননি। দরিদ্র কৃষক ভাইদের কথা চিন্তা করে সমাবায়ের কিছুটা প্রসার বাংলার মাটিতে ঘটিয়েছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সমাবয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে অনেকাংশে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সমবায়ের বড় সফলতা হচ্ছে মিল্ক ভিটা। যেখানে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বাংলাদেশে খ্রিষ্টান সমাজে সমবায়ের বীজ বপন করেছিলেন ফাদার চালর্স জে ইয়াং সিএসসি দি খ্রীষ্টান কো আপরেটিভ ক্রেডিউ ইউনিয়ন লি:, ঢাকার মাধ্যমে। কালের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ যারা তারা বেশির ভাগই সমবায় সমিতি থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করে ছোট ছোট উন্নয়নমূলক কাজ করে আজ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।
সমাজে যারা ভালো সমবায়ী তাদের জীবনাচরণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় তারা সর্বদা ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে এবং যথা সময়ে কিস্তি প্রদান করে ঋণ পরিশোধ করার মাধ্যমে আজ তার সমাজে অনেকাংশে আর্থিকভাবে এগিয়ে আছেন। আমার জানা মতে, অনেকে বিলাসী জীবন-যাপন না করে আগে ঋণ পরিশোধ করেন। তাই তারা সমবায় সমিতি হয়ে সহজ শর্ত ও নিয়ম মাফিক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আজ খ্রিষ্টান সমাজের অনেক মানুষ সমবায় সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করে খামার, পড়াশোনা, গৃহনির্মাণ, ব্যবসা ইত্যাদি করে সুখী জীবন-যাপন করছেন। তাই সকলে সমবায় থেকে পরিকল্পিত ঋণ গ্রহণ করুন, নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করুন নিজের ও সমাজের টেকসই উন্নয়ন করুন।