ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ০৪ জুলাই ২০২৪
বাংলা : ২০ আষাঢ় ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’র প্রধান নির্বাহী অফিসার ডা. হায়দার

ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’র প্রধান নির্বাহী অফিসার ডা. হায়দার

0
78

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি;’র নতুন প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডাক্তার আহমেদ শফিকুল হায়দার।

১ জুলাই, ২০২৪ থেকে তিনি ঢাকা ক্রেডিটের নির্মিত ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। এর আগে তিনি দেশি-বিদেশী বেশকিছু প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

কর্মজীবনের শুরুতেই ১৯৮২ সালে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটের সিএ ইনচার্জ, পর্যায়ক্রমে বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র মেডিকেল অফিসার, ইরানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্যায়ক্রমে ডেপুটি পরিচালক ও সহকারী পরিচালক এবং শেষে পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন ডাইরেক্টর, একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেড অব অপারেশন, বিআরবি হাসপাতাল লি:’র মেডিকেল সার্ভিস পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী অফিসার, বাংলাদেশ নিওনেটাল হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার এবং সর্বশেষ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই পর্যন্ত তিনি ইমপাল্স হাসপাতালের সিওও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ও ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ ডাক্তার শফিকুল হায়দারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তার শফিকুল হায়দারকে শুভেচ্ছা জানাই। তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাকে বেছে নিয়েছি। আশা করি তিনি দক্ষতার সাথে হাসপাতালটি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা চাই, তিনি চিকিৎসার জন্য ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’কে সকলের কাছে নির্ভরতার স্থান হিসেবে তুলে ধরবেন।’
তাঁর দায়িত্বগ্রহণে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’র নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কুজ গমেজ, সদস্য সচিব পংকজ গিলবার্ট কস্তা এবং সদস্য নির্মল রোজারিও।

তারা ডিসিনিউজকে বলেন, ‘ডাক্তার শফিকুল হায়দার অনেক অভিজ্ঞ এবং পেশাদার একজন মানুষ। তিনি ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করি তার সুদীর্ঘ পেশাজীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল পরিচালনা করবেন। আমাদের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশের মানুষের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য একটি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত করে তুলবেন। তাকে অভিনন্দন জানাই তিনি ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে সেবাদানের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বীজ রোপিত হয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ও সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তার নেতৃত্বে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মি. জন গমেজ হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে গমেজ স্কয়ার হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে কানাডায় অবস্থান করছেন। তিনি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, হাসপাতাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক বাবু মার্কুজ, সদস্য সচিব পংকজ গিলবার্ট কস্তা, সদস্য নির্মল রোজারিও সাবেক প্রধান নির্বাহী অফিসার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জন গমজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা ডিসিনিউজকে জানিয়েছেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণের শুরু থেকে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হওয়া পর্যন্ত সাবেক প্রধান নির্বাহী অফিসার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমরা তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মি. জন গমেজ হাসপাতালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর ১ থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার হিসেবে ১ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১ জুলাই ডা. হায়দার’র নিকট প্রধান নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব তুলে দেন।

উল্লেখ্য, ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:’র ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আশির্বাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালের সেবা নিয়ে স্থানীয় জনগণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে।