শিরোনাম :
ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে গ্র্যান্ডস-পেরেন্টস ডে পালন
।। ডিসিনিউজ ।।
পরিবারে দাদু-দিদাদের সাথে শিশুদের সম্পর্কের বিষয় জানতে এবং মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণে ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার পালন করেছে গ্র্যান্ডস-পেরেন্টস্ ডে।
৮ সেপ্টেম্বর, সকাল সাড়ে ১০টায় ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের সোনামণিদের নিয়ে সেন্টারের ক্যাম্পসে দাদু-দিদাদের (দাদা-দাদি, নানা-নানী) অংশগ্রহণে এই দিবসটি পালন করা হয়।
চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিগসের নেতৃত্বে শিক্ষকবৃন্দরা এই উদ্যোগের আয়োজন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সিও সিসিলিয়া সুইটি পিউরীফিকেশন ও মনিপুরীপাড়া সেবাকেন্দ্রের ম্যানেজার বিপুল টি. গমেজ।
অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীদের কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় এবং তাদের সাথে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়।
চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল ডালিয়া রড্রিগস বলেন, ‘আজকের দিনটি সকল দাদা-দাদী ও নানা-নানীদের জন্য উৎসর্গ করতে চাই। আমাদের এই সেন্টারে শিশুদের মূল্যবোধের শিক্ষার বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেই। শিশুরা যেন বুঝতে পারে দাদু-দিদা কী, তারা যেন দাদু-দিদার কাছাকাছি আসতে পারে এবং সত্যিকার ভালবাসা পায়, এই তিনটা উদ্দেশে আজকের আয়োজন।’
‘আমি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি, কিন্তু কখনো কোথাও এই দিবসটি পালন করতে দেখিনি। শিশুদের পারিবারিক মূল্যবোধ গঠনে ডিসি চাইল্ড কেয়ার প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করে’ বলেন প্রিন্সিপাল রড্রিগস।
এ সময় সিও সুইটি পিউরীফিকেশন বলেন, চাকরিজীবি বাবা-মায়ের সন্তানদের জন্য দাদু-দিদা যে কতটা অপরিহার্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সময় দাদু-দিদাই তাদের একমাত্র সম্বল ও শিক্ষাগুরু হয়ে ওঠেন। তাই দাদু-দিদাদের সাথে আনন্দ সহভাগিতার জন্যই আজকের এই আয়োজন।’
সেবা সেন্টারের ম্যানেজার বিপুল গমেজ বলেন, ‘ভাল লাগে, যখন দেখি এখনো একান্নবর্তী পরিবার টিকে রয়েছে। বর্তমানে শিশুরা তো বেশিরভাগ সময়ই দাদু-দিদাদের সংস্পর্শ পায় না। তারপরও অনেক পরিবার একান্নবর্তী মানসিকতায় টিকে রয়েছে। আজকের শিশুদের সাথে তাদের দাদু-দিদাদের দেখে সত্যিই ভাল লাগছে।’
চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারের শিশু স্মারক রায়ের দিদা সাবিত্রী রায় অনুভূতি সহভাগিতা করে বলেন, ‘আমার ছেলে-ছেলের বউ চাকরি করে, তাই তারা সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারে না। পারিবারিক মূল্যবোধের অনেক শিক্ষা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু আপনারাা যে মূল্যবোধ নিয়ে চাইল্ড কেয়ার শুরু করেছেন, তা দেখে সত্যিই অনেক ভাল লাগছে। বিভিন্ন দিবস পালনের সাথে এই দিবসটিও গুরুত্ব নিয়ে পালন করে আপনারা শিশুদের মূল্যবোধ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।’
আরেক সোনামণি জারেট-এর দাদু জেমস্ সরেন অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আজ এখানে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত ও খুশি। আজকের এই দিনটি আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। আমি কখনোই কোথায়ও এই দিনটি এতটা গুরুত্ব নিয়ে পালন করতে দেখিনি। ধন্যবাদ জানাই আপনাদের, যারা এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। আশা করি আপনাদের মহান উদ্যোগ আরো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।’
গ্র্যান্ডস্-প্যারেন্টস্ ডে’র সকালে শিক্ষকগণ সোনামণিদের দাদু-দিদাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে নেন। এরপর উৎসাহমূলক বক্তব্য রাখেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণে ছোট পরিসরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ দিন শিশুরা তাদের দাদু-দিদাদের সাথে সাদা-কালো ছবিতে রঙ করে মূল্যবোধের শিক্ষাকে উপভোগ করে। অনুষ্ঠানে দাদু-দিদাদের জন্যও ছিল খেলার আয়োজন।
ঢাকা শহরের চাকরিজীবী বাবা-মায়েদের কথা চিন্তা করে, ঢাকা ক্রেডিট চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। এই প্রথমবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার শুরু করেছে ঢাকা ক্রেডিট। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। ৬৫ জন শিশুর সুযোগ-সুবিধার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। বর্তমানে ৪৮ জন শিশু এখানে সেবাগ্রহণ করছে ॥
আরো পড়ুন:
ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুলের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মশালা
ডিসি চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টারে গ্র্যান্ডস-পেরেন্টস ডে পালন