ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ডেঙ্গুকে হেলাফেলা নয়, আরো সতর্কতা প্রয়োজন

ডেঙ্গুকে হেলাফেলা নয়, আরো সতর্কতা প্রয়োজন

0
1127
DC News, Dhaka Credit

এবার ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ গতবারের চেয়ে বেশিই দেখছি। আর সেই সঙ্গে জটিলতাও বেশি হতে দেখা যাচ্ছ। ধরন পাল্টে যাচ্ছে।

ডেঙ্গু চার ধরনের ভাইরাস থেকে হয়। ফলে একবার কারো এক ধরনের ডেঙ্গু হলে পরে আর সে ধরনের না হলেও অন্য আরেক ধরনের ডেঙ্গু হতে পারে। অর্থাৎ আগেকেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকলে সে আবার আক্রান্ত হতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হয় এডিস মশার কামড়ে। তাই জ্বর হলেই আর হেলাফেলার সুযোগ নেই।চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া ভালো। কারণ এখন ডেঙ্গুর ধরনও পাল্টেছে। এটা কিন্তু উদ্বেগের বিষয়।

যারা মারা যাচ্ছে তাদের বেশির ভাগই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বা মায়োকার্ডিয়াটিস থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণে মারা যাচ্ছে। তবে ভয় না পেয়ে চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের আরো সতর্ক হওয়ারপ্রয়োজন। যারা মারা যাচ্ছে তাদের অনেকেই বিষয়টিকে কোনো না কোনোভাবে শুরুতে হেলাফেলা করেছে; পরে যখন চিকিৎসকের কাছে আসে তখন আর কিছু করার থাকে না। ডেঙ্গু জ্বর হলেই শুরু হয় রক্ত ওপ্লাটিলেট দেওয়া নিয়ে দৌড়াদৌড়ি আর অ্যান্টিবডি পরীক্ষার হিড়িক। অবশ্য আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। একদিকে সরকারের সার্বিক ব্যবস্থাপনার ফলে চিকিৎসকদের যেমন অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয়চিকিৎসা দেওয়ার দক্ষতা বেড়েছে, তেমনি রোগী ও জনসাধারণের সচেতনতা বাড়ায় ডেঙ্গু নিয়ে ভীতিকর অবস্থারও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হলে সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত প্রায়শতভাগ রোগীই ভালো হয়ে যায়। তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে অন্য জটিলতা থাকলে সেটা কিন্তু আবার বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত পাঁচছয় দিন থাকে এবং এরপর জ্বর সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো দুই-তিন দিন পর আবার জ্বর আসতে পারে। তবে তখন এক-দুই দিনের জ্বরেই ডেঙ্গু রোগী শকে চলে যেতেপারে। যদিও জ্বর কমে গেলে বা ভালো হয়ে গেলে অনেক রোগী এমনকি অনেক ডাক্তারও মনে করেন যে রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরে মারাত্মক সমস্যা হয় এমন সময়েই। এ সময় প্লাটিলেটকাউন্ট কমে যায় এবং রক্তক্ষরণসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরের কিছুদিনকে তাই বলা হয় ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড। এ সময়টাতে সবারই সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি।

ডেঙ্গু জ্বরে কী কী পরীক্ষা, কখন করা উচিত বা প্লাটিলেট কাউন্ট ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ভূমিকা কী তা নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা চিন্তা কাজ করে। এ ক্ষেত্রে জ্বরের শুরুতে বা দুই-এক দিনের জ্বরে রক্ত পরীক্ষায়কোনো কিছু শনাক্ত নাও হতে পারে এবং তা রোগ নির্ণয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করতে পারেন যে রিপোর্ট ভালো আছে, তাই আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। মনে রাখতেহবে যে প্লাটিলেট কাউন্ট চার-পাঁচ দিন পর থেকে কমতে শুরু করে। তাই জ্বর শুরুর পাঁচ-ছয় দিন পর রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। এর আগে পরীক্ষা করলে তা স্বাভাবিক থাকে বিধায় রোগ নির্ণয়ে যেমন বিভ্রান্তির সৃষ্টিহয় তেমনি অপ্রয়োজনে পয়সা নষ্ট হয়। অনেকেই দিনে দুই-তিনবার করে প্লাটিলেট কাউন্ট করে থাকেন। (সংগৃহীত)

স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো লেখা পড়ুন:

পৃথিবীর সকলেরই সবজিভোজী হওয়া উচিত যে কারণে

সাতদিন খালি পেটে রসুন-মধুর উপকারিতা