শিরোনাম :
ঢাকায় খ্রিষ্টান যুবাদের মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
ঢাকা শহর অঞ্চলের খ্রিষ্টান যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করা হয় তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে।
২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে শুরুতে জাতীয় সংগীত পরেবেশন করা হয়। সহ¯্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং স্বাধীনতার আলোর পথে দীপ্ত প্রত্যয়ে পথ চলার শপথ নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। কেক কাটা, বক্তব্যমালা ও নৃত্য-গানের মধ্যদিয়ে সাজানো ছিল দিনের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এম.পি এবং বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এম.পি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ ওএমআই। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে এ আয়োজনের প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এম.পি স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি তুলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। একইসাথে যুবক-যুবতীদের আহ্বান রাখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে উঠতে, ধর্মপ্রাণ হতে কিন্তু ধর্মান্ধতা গ্রহণ না করতে। যুবকেরাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিচয় আরো দৃঢ় করবে। তাই সমাজ ও দেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে যুবকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে নিজেদেরকে গঠিত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সমাজের অনেক বড়ো অবদান রয়েছে। ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে খ্রিষ্টান যুবকেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শক্র মুক্ত করতে যে সাহসিকতা দেখিয়েছে তা বর্তমান সময়ের জন্য আরও বেশি প্রয়োজন। জাতির পিতা স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন আর তাঁর সুযোগ্যা কন্যাকে বাংলাদেশকে গড়েছেন উন্নয়নশীল দেশ রূপে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর সে অগ্রযাত্রায় খ্রিষ্টান সমাজের যুব সমাজকেও শামিল হতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’এুজ বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সমাজে প্রায় ২০০০ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন এবং একজনও রাজাকার নেই। এটি খ্রিষ্টানন সমাজের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। আমাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও সমাজসেবামূলক কাজ দিয়ে আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে সেবা করে যাচ্ছি। দেশসেবায় খ্রিষ্টানগণ এগিয়ে আসবেন এবং সুযোগ পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ছিল দেশাত্ববোধক গান ও নৃত্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। যা যুবক-যুবতীদের নিজেদের উদ্যোগেই করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে মোট ৪৫০ জন যুবক-যুবতী উপস্থিত ছিল। (বিজ্ঞপ্তি)