ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ঢাকার রাজপথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল

ঢাকার রাজপথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল

0
973

সংখ্যালঘু নির্যাতন, জমি দখল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, প্রখ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং আলোর মিছিল করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনসহ আরো অনেকগুলো সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠন।

শনিবার (১০ মার্চ) রাজধনী শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে মশাল মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এসব জুলুম ও হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্তর নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সেক্রেটারি মানবাধিকার কর্মী সঞ্জীব দ্রং, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তাসহ অ্যাডভোকেট তাপস পাল, নির্মল চ্যাটার্জী, যোসেফ স্বপ্নন চৌধুরী, সেবাস্টিয়ান বাড়ৈ, অরুনেশ বাড়ৈ, ভিক্টর রে, অ্যাভোকেট ঝর্ণা মোহন্ত এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এ সময় সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায় যেতে বিভিন্ন দল জোট গঠন শুরু করেছে। আমরা বরাবর বলে আসছি, পাকিস্তানী দালাল এবং যারা দেশের সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম-নির্যাতন, জমি দখল, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে তাদের নিয়ে দল গঠন করলে তার ফলাফল ভাল হবে না।’

‘ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করে দেশের ভাল হবে না। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ চাই। দেশ বরেণ্য লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলা দেশের সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার হুমকি প্রকাশ করে। আমরা এই হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার দাবি করি।’ বলেন দাশগুপ্ত।

খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল কোড়াইয়া বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চরমে উঠে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এর ফল কখনোই ভাল হবে না। দেশের সার্থে এখনি এসব রুখতে হবে। প্রখ্যাত লেখক জাফর ইকবালের উপর হামলার সাথে যাদের ইন্ধন রয়েছে অবিলম্বে সেই সকল ঘৃণিত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচার করতে হবে, তা না হলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিছু দিন পূর্বে মাউসাইদ চার্চে ডাকাতিসহ পবিত্র জিনিস অবমাননা করা হয়েছে, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। সরকারের উচিত এসব বিষয়ে এখনই দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জায়গা যদি দখল করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়!’

এ দিন বক্তারা ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীর দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘু নির্যাতন, হত্যা, জমি দখল, মঠ-মন্দিরের জমি দখল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, চাকমারাণীর উপর হামলাকারীদের বিচারসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভ শেষে মশাল নিয়ে সমাবেশকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমাবেশ শেষ করেন।

আরবি.আরপি.১০ মার্চ, ২০১০