শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টা পরিষদের সাথে কার্যকরি পরিষদের আলোচনা সভা
‘ঢাকা ক্রেডিটের ইতিহাসে এবারই প্রথম প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা করতে হয়েছে কিছু কুচক্রী মহলের কারণে’ মন্তব্য করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ।
তিনি বলেন, তাদের মামলার কারণে পূর্বের ন্যায় সকল সদস্যের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য কমিটির সদস্য নির্বাচনের সুযোগ এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল সদস্যের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আইনি জটিলতার কারণে বার্ষিক সাধারণ সভাও প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করতে হবে, যত দিন এই আইন পরিবর্তন করা না যাবে।
১৬ অক্টোবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি আরো বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই আপনাদের সাথে প্রথম সভা। তবে ক্রেডিটের সকল বিষয়ে আপনাদের বিভিন্ন সময়ে অবগত করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের বার্ষিক সাধারণ সভা একটি মিলন মেলা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ওই কুচক্রীদের কারণে সবাই অংশ নিতে পারছে না। আমরা বোর্ড অনেক চেষ্টা করেছি সাধারণ সদস্যদের নিয়ে যেন সাধারণ সভা করা যায়। নতুন বোর্ডের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি উপস্থিত ছিলেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি, ‘সমবায় বিধিমালা ২১(১) বিধি অনুযায়ী (‘যে সকল সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা ৩,০০০ (তিন হাজার) বা তদুর্ধ্ব সেই সকল সমিতি আবশ্যিকভাবে এবং যে সকল সমিতির সদস্য সংখ্যা ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচ শত)-এর বেশি কিন্তু ৩০০০ (তিন হাজার)-এর কম, সে সমস্ত সমবায় সমিতির উপ-আইনে বিধান থাকিলে, বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন প্রতিনিধির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হইবে’ সেখান থেকে যেন আবশ্যিক শব্দটা বাদ দেন। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন তা করবেন। যতদিন না এই আইনী জটিলতা শেষ না হবে, ততোদিন প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন ও বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হবে।
যারা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য মামলা করেছে, তারাই এখন প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করে। তাদের স্বার্থের কারণে বৃহত্তর সাধারণ সদস্য তাদের অধিকার থেকে আজ বঞ্চিত।
তারা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে ক্রেডিটের অগ্রগতি ব্যহত করতে বিভিন্ন হয়রানীমূলক মামলা করেও তেমন কুলকিনারা করতে পারছে না। আপনারা আমাদের উপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আনন্দের সাথে বলতে চাই, ‘ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এই সময়ের ক্রেডিটের আর্থিক গতি সবচেয়ে বেশি।
এ সময় ক্রেডিটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদ ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান উন্নয়নের ধারা দেখে প্রশংসা করেন। তারা মত দিয়ে বলেন, ‘আমরা যে আস্থা নিয়ে আপনাদের উপর দায়িত্ব দিয়েছি, তা অন্য সময়ের চেয়ে আরো বেশি কার্যকর। আর যারা ক্রেডিটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে, অগ্রগতি ব্যহত করতে এবং সদস্যদের অধিকার হরণ করতে ঘৃণ্যতম মামলাগুলো এবং ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নিবেন। সমিতির এবং সদস্যদের স্বার্থে আপনাদের এই পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আপনাদের সাথে আছি এবং থাকবো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেস্টার গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিউবার্ট গমেজ, আধ্যত্মিক উপদেষ্টা সিষ্টার রেবা ভেরোনিকা কস্তা আরএনডিএম, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট জর্জ রোজারিও, খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, বয়োঃজেষ্ঠ্য উপদেষ্টা হেলেন রোজারিও, স্বপন খন্দকারসহ প্রায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রায় ১শত উপদেষ্টা এবং কার্যকরি বোর্ড সদস্যরা।