ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঢাকা ক্রেডিটের এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা

ঢাকা ক্রেডিটের এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা

0
312

অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে সম্পন্ন হলো ঢাকা ক্রেডিটের এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটির ২৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা।

কর্মীদের আর্থিক উন্নয়ন, কল্যাণ সাধন, সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি ও সঞ্চয়কে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ২৭ বছর আগে গঠিত এই সোসাইটির চেয়ারম্যান ডমিনিক কাজল ডি’কস্তার সভাপতিত্বে কর্মীদের এই সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ ও সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।

২৫ মে ঢাকা সকাল ১০টায় ঢাকা ক্রেডিটের বি কে গুড কনফারেন্স হলরুমে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের এই সাধারণ সভা শুরু হয়। কোরাম ঘোষণা, অতিথিদের আসন গ্রহণ, জাতীয় ও সমবায় পতাকাসহ সমিতির পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর বাইবেল পাঠ এবং প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে সাধারণ সভার আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়।

প্রারম্ভিক বক্তব্যে সোসাইটির চেয়ারম্যান ডমিনিক কাজল ডি’কস্তা সমিতির অগ্রগতি ও সফল কার্যক্রমের ভূমিকা উপস্থাপন করেন। তিনি ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বছরে ৬.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রস্তাব করেন এবং এটিকে সমিতির বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন। সমিতির সুন্দর পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকা ক্রেডিটের নিকট কিছু চাহিদার কথাও উল্লেখ করেন যার মধ্যে রয়েছে সোসাইটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি রুমের জরুরি প্রয়োজন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, সোসাইটির যে পরিমান প্রবৃদ্ধির পত্যাশা করা হয়, তা মনে হয় পূরণ হচ্ছে না। মাসিক ছয় টাকা সুদে ঋণ দেওয়া সোসাইটির কর্র্মী-সদস্যদের জন্য অনেক সুবিধার সৃষ্টি করেছে। ঢাকা ক্রেডিটে সমিতির কর্মীদের স্থান সংকুলানের বিষয়ে বলতে গিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, গত ছয় বছরে ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের বসার স্থান সংকুলানের জন্য নানাভাবে রি-মডেলিং করা হয়েছে। কর্মী বৃদ্ধির সাথে বসার স্থানের বৃদ্ধি হচ্ছে না। তাই তিনি বলেন, ‘তেজতুরীবাজারে পরিকল্পিত অফিস নির্মাণের পর সেখানে কর্মীদের সোসাইটির জন্য একটি রুম বরাদ্দ করা যেতে পারে।’ মার্কুজ গমেজ মাতৃপ্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি কর্মীদের গুরুত্বসহকারে জোর দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।

সোসাইটির প্রতি নানা দিকনির্দেশনামূলক আলোচনায় ঢাকা ক্রেডিট সমিতির সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা বিশ্লেষনমূলক আলোচনার সূত্রপাত করে বলেন, সোসাইটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রেইনস্ট্রমিং করতে হবে। ‘টার্গেট নির্দিষ্ট করতে পারলে, সুফল পাওয়া যাবে। কিছু ব্যবসায়িক স্বপ্ন দেখে সেগুলো বাস্তবে রূপদান করতে পারলে ভাল হবে। আইসিডিডিআরবির কর্মীদের জন্য বাস সার্ভিসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এমন ধরনের উদ্যোগ অনেকটাই নিরাপদ ও লাভজনক। ‘তবে যাকিছুই আপনারা করেন-না-কেন, মাতৃপ্রতিষ্ঠানের চলমান কাজকে অবহেলা করে কিছুই করা উচিত হবে না।’ ভবিষ্যতে কর্মীদের জন্য গৃহায়ণ প্রকল্প নিয়েও সদস্যদের মধ্যে ভাবনার উদ্রেক সৃষ্টি করেন তিনি। তিনি এ-ও বলেন যে, যেকোনো উদ্যোগ সোসাইটিতে দু-একজনই নিয়ে থাকে এবং তাতে সবাই উপকৃত হয়।

৬.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রশংসা করে ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ সোসাইটির সদস্য ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সবাইকে উৎসাহিত করেন। লিডারদেরকে তিনি ভিশনারী লিডার হওয়ার দিকনির্দেশনা দেন। তাতে ভবিষ্যতে ভাল কিছু অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ২৪ মে বান্দুরা বহূমুখী প্রকল্পের উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মানুষ ঢাকা ক্রেডিটকে ভালবাসে বলেই ১২০০ থেকে ১৩০০ মানুষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ঢাকা ক্রেডিট সমিতিকে গৌরবান্বিত করেছে। নারী কর্মীদের কথা বিবেচনা করে সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের বিউটি পার্লার আরম্ভ করারও প্রস্তাব করেন। ‘একাগ্রতা থাকলে অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে লাভবান হওয়া যায়।’

ঢাকা ক্রেডিট সমিতির সহকারী সিও লিটন টমাস রোজারিও তার বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সোসাইটিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সোসাইটির কর্মকর্তা ও সাধারণ সদস্যদের অনুপ্রাণিত করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আনন্দ ফিলিপ পালমা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সিও সুদান গাইন, সিও জোনাস গমেজ ও সুইটি সি পিউরীফিকেশন।

সোসাইটির বার্ষিক সাধারণ সভার নানা আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ছিল চেয়ারম্যনের স্বাগত ভাষণ, অতিথিদের বক্তব্য, বিগত ২৪তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন, পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন পেশ ও অনুমোদন, বার্ষিক হিসাব বিবরণী পেশ ও অনুমোদন, নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও প্রস্তাবিত বাজট পর্যালোচনা ও অনুমোদন, প্রস্তাবিত আয় বন্টন হিসাব উপস্থাপন ও লভ্যাংশ ঘোষণা, নতুন প্রস্তাব পেশ ও অনুমোদন, বিবিধ আলোচনা, লটারি ড্র ও শেষে ভাইস-চেয়ারম্যানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন।

আরপি/আরবি/২৫.০৫.২০১৯