ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঢাকা ক্রেডিটের কীর্তন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে

ঢাকা ক্রেডিটের কীর্তন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে

0
2395

ডিসিনিউজ।।ঢাকা

ঢাকা ক্রেডিটের আয়োজনে কীর্তন সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে মন্তব্য করেন কীর্তন গবেষক তাপসী ঘোষ।

১৬ ডিসেম্বর ঢাকা ক্রেডিটের কীর্তন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ঢাকা ক্রেডিট প্রতিবছরের মতো এবারও শুভ বড়দিন ও বিজয় দিবস উপলক্ষে কীর্তন ও অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ঢাকা ক্রেডিটের মহান বিজয় দিবস ও প্রাক্-বড়দিনের একটি বিশেষ অংশ হলো কীর্তন ও অংকন প্রতিযোগিতা।

সকাল ১০টায় ফার্মগেট বটমলী টেকনিক্যাল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে প্রার্থনার পর জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচীর শুভ সূচনা হয়। ঢাকা ক্রেডিটের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ এই প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন। বিচারকদের অনুমতিক্রমে একে একে অংশগ্রহণকারীদল তাদের উপস্থাপনা প্রদর্শন করে। তিনজন বিজ্ঞ বিচারক ছিলেন ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-এর কীর্তন গবেষক তাপসী ঘোষ, বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থার সভাপতি যোসেফ কমল রড্রিক্স এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিন।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিচারক তাপসী ঘোষ আরো বলেন, আমি প্রতি বছরই ঢাকা ক্রেডিটের কীর্তন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকি। এই বছর প্রতিটা দলের কীর্তন গানের অংশগ্রহণে অনেক উন্নতি হয়েছে। একদিন ঢাকা ক্রেডিটের এই কীর্তন প্রতিযোগিতার আয়োজন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পৌঁছে যাবে। ঢাকা ক্রেডিট পালা কীর্তন গানেরও আয়োজন করতে পারে।

বিচারক কমল রড্রিক্স বলেন, কীর্তনের মাধ্যমে আমরা পুরানো ঐতিহ্য তুলে আনার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে হিন্দু মুসলমান ও খ্রিষ্টান বলে কিছু নেই, আমরা সবাই বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করি। ঢাকা ক্রেডিটের এই আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয় ও মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

বিচারক অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিন বলেন, ঢাকা ক্রেডিট যে কীর্তনের আয়োজন করেছে, তা বাঙালির ঐতিহ্যকে প্রতিপালন করছে। কীর্তন বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। এখানে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তারা বাংলার সংস্কৃতিকে বিশ্বের মাঝে পৌঁছে দিতে পারবে।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য কীর্তন। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম যেন কীর্তনের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে, সেই জন্যই ঢাকা ক্রেডিট প্রতিবছর কীর্তন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাচ্ছে। আশার বিষয় হচ্ছে প্রতি বছর কীর্তন প্রতিযোগিতায় দলের সংখ্যা বাড়ছে। সুতরাং কীর্তন প্রতিযোগিতায় সকলের আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে যে সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে মানুষ এগিয়ে আসছে, তা বুঝা যায়।’

সারা দেশ থেকে কীর্তন প্রতিযোগিতায় মোট ১৭টি দল অংশ নেয়। হলিক্রস ছাত্রী হোস্টেল, রাজাবাজার খ্রিষ্টান কল্যাণ সমিতি, লুদুরিয়া ছেলে কীর্তন দল, ধারাবাশাইল খ্রিষ্টান যুব সংঘ, তুমিলিয়া ধর্মপল্লী কীর্তন দল, উদয়ন যুব সংঘ, সবুজ বাংলা তরুণ সংঘ, লুদুরিয়া মেয়ে কীর্তন দল, ঢাকা শহরস্থ সাভারবাসী খ্রীস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, দড়িপাড়া মিশন কীর্তন দল, নয়া-নগর বিসিএসএম ইউনিট, সাধনপাড়া ছাত্রী হোস্টেল, বোর্ণী খ্রিষ্টান ছাত্র সংঘ, পূর্ব ভাদার্তী দিশারী সংঘ, ঢালি বাড়ি কীর্তন দল, বাঁধণ-একটি খ্রীষ্টিয় যুব সংগঠন এবং হিরন গমেজ ও তার দল ঢাকা ক্রেডিটের কীর্তন প্রতিযোগিতায় বর্ণিল সাজে অংশগ্রহণ করে।

এ দিন ঢাকা ক্রেডিট কর্তৃক তিনটি গ্রুপে অংকন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় ১৭১ জন আঁকিয়ে অংশ নেয়। প্লে-২য় শ্রেণি ক বিভাগের অংকনের বিষয় বস্তু ছিল বিজয় দিবস ও বড়দিন, ৩য়-৫ম শ্রেণি খ বিভাগের অংকনের বিষয় বস্তু ছিল বিজয় দিবস ও বড়দিন এবং ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি গ বিভাগের অংকনের বিষয়বস্তু ছিল জন্ম শর্তবার্ষিকীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু।

উল্লেখ্য, ঢাকা ক্রেডিটের মহান বিজয় দিবস ও প্রাক্-বড়দিন সদস্য তথা খ্রিষ্টানদের জন্য একটি বিশেষ আনন্দের দিন। এই দিনে ঢাকা ক্রেডিটের আয়োজনও থাকে বর্ণিল সাজে। ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন প্রডাক্ট ও প্রকল্পের পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন ধরণের সদস্যবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। অনুষ্ঠান স্থান ঘুরে দেখা যায় হাজারো মানুষের মিলনমেলা রূপ নিয়েছে বটমলীর টেকনিক্যাল মাঠ। মাঠপ্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে প্রতিটি স্টলে ছিল উপচে পড়া ভির। ডিসি বিউটি পার্লারে বিনামূল্যে মেহেদীর সাজ ছিল নারী ও কন্যাশিশুদের আগ্রহের স্থান। এ ছাড়াও বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়েছিল বিনামূল্যে স্বাস্থ পরীক্ষার সুবর্ণ সুযোগ।

মিলনমেলার বিকালে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ আলোচনা সভা, হাসপাতাল বন্ডের লটারি ড্র এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।