ঢাকা ,
বার : বুধবার
তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১১ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের মুখোমুখি (ভিডিও)

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের মুখোমুখি (ভিডিও)

0
1570

সমবায়ের নিয়ম অনুযায়ী তিন বছর পর পর যে কোন ক্রেডিট ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুসারে ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচনকে ঘিরে সদস্যসহ সাধারণ মানুষের থাকে নানা কৌতুহল। আর এই কৌতুহলের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট মি. বাবু মার্কুজ গমেজ। তিনি ২০১৪ সনে এবং ২০১৭ সনে দুইবার এই সমিতির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যতটুকু জানা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে মি. বাব মার্কুজ গমেজ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। আসুন আমরা আসন্ন নির্বাচনকে নিয়ে মি. বাবু মার্কুজ গমেজ কী চিন্তা করছেন তা জেনে নিই। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সুমন কোড়াইয়া

মি. প্রেসিডেন্ট আপনি তো বিগত দুই টার্মে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই দায়িত্ব পালন করার সময় কী কী গুণগত মান পরিবর্তন করেছেন?

বাবু মার্কুজ গমেজ: ধন্যবাদ জানাই মি. সুমন কোড়াইয়া। প্রকৃতপক্ষে বিগত ২০১৪-২০১৭ এবং ২০১৭-২০২০ সালের এই দুই র্টামে আমার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে মূলত ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলনে বিশেষ করে ঢাকা ক্রেডিটে আমরা যে বিষয়গুলোকে সবচাইতে গুরুত্ব দিয়েছি সেটা হচ্ছে- যেহেতু এই সমিতিতে এখন ৪০ হাজারের বেশি সদস্য, সুতরাং এখানে পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা। যাতে আমাদের যে কর্মীবাহিনী আছে তারা যেন সর্বোচ্চ সদস্য সেবা দিতে পারে। একই সাথে টেকনোলজির যে পরিবর্তন, এই পরিবর্তনকে ধারণ করে আমরা একটা ডিজিটাল ক্রেডিট ইউনিয়ন করার লক্ষে আমরা শুরু থেকে কাজ করছি। সেই সাথে ঢাকা ক্রেডিটের যে ব্যাপক কর্মপরিসর এটাকে সাধারণ সদস্যদের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার জন্য একটা মিডিয়া সেল করে তার মাধ্যমে এগুলোকে প্রচার করতে পেরেছি। আজকে গর্ব করে বলতে পারি যে বাংলাদেশে খ্রিষ্টানদের যে কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা ক্রেডিট একটি লিভিং আর্কাইভ বলা যায়। আমাদের যে মিডিয়া টিম আছে এর মাধ্যমে আমাদের যত বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে, আমাদের খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন সংঘ, সমিতির এবং চার্চের- এই সবগুলোকে আমরা মিডিয়া টিমের মাধ্যমে চলমান আর্কাইভ হিসেবে আমরা ধারণ করতে পেরেছি। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুদের সমবায় আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা এবং একটা ব্যাপক কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি করা সেই বিষয়গুলোর জন্য আমরা কাজ করছি। আমি মনে করি, এই ছয় বছরে এই পরিবর্তনগুলো ঢাকা ক্রেডিটে আমরা করতে পেরেছি। আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন মাত্র ১৪১ জন কর্মী ছিল। বর্তমানে প্রায় সাতশর মতো কর্মী রয়েছে। সুতরাং এই যে ছয় বছরে এতো ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হয়েছে এটা কিন্ত আমরা বিভিন্ন সোসাল এন্টার প্রাইজের মাধ্যমে করতে পেরেছি।

ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ

দায়িত্বে থাকাকালে আপনি বা আপনারা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন?

বাবু মার্কুজ গমেজ: এতো বড় সমবায় সমিতিতে চ্যালেঞ্জ সব সময়ই আছে। আমি মনে করি, আমার সময়কালীন সময়ে আমি চমৎকার একটা টিম নিয়ে কাজ করেছি। আমার বোর্ডে যাঁরা ছিলেন, যাঁরা কর্মী বাহিনী আছেন, আমাদের উপদেষ্টাগণ আছেন, বিভিন্ন সাব-কমিটির তাঁরা সবায় একযোগে কাজ করেছেন। যেহেতু এই সময়টাতেই আমরা মূলত ট্রেডিশনাল ক্রেডিট ইউনিয়নের যে কার্যক্রম তার বাইরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ এটা মাইন্ড সেটআপ ছিল আমাদের কর্মীদের, আমাদের সদস্যদের- অনেকেরই চিন্তা ছিল যে এটা কি আসলে ক্রেডিট ইউনিয়নের কাজ কিনা। আমি খুব আনন্দিত যে ঢাকা ক্রেডিট যখন শুরু করে, তখন অনেকেই অনেক কথা বলেন, কিন্তু পরবর্তীতে সবাই ঢাকা ক্রেডিটকে অনুসরণ করেন। যখন স্কুল করেছি, কালচারাল একাডেমি করেছি অনেকেই বলেছে এটার প্রয়োজন আছে কিনা কিন্তু আজকে সব ক্রেডিট ইউনিয়নগুলো ঢাকা ক্রেডিটকে অনুসরণ করছে। আমরা মনে করি, ঢাকা ক্রেডিট পাইওনিয়ার ক্রেডিট ইউনিয়ন হিসেবে আমাদের সেই রোল আছে এবং সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করেই আমরা বিগত ছয়টি বছর পার করেছি।

 আসন্ন নির্বাচনটি কি প্রতিধিদের মাধ্যমেই হবে নাকি আগের মতো সাধারণ সদস্যদের মাধ্যমে হবে?

বাবু মার্কুজ গমেজ: আপনারা সবাই অবগত আছেন ২০১৭ এর যে নির্বাচনটি সেটা কিন্তু আমাদের জনগণের অংশগ্রহণেই নির্বাচনের জন্য সর্ব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমাদের কিছু সদস্য যাঁরা এই নির্বাচনকে এবং এই প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেয়ার জন্য তাঁরা সমবায়ের একটি বিধি আছে ২১ এর ১ বিধি সেখানে বলা আছে ৩ হাজারের ওপর সদস্য হলে সে সমিতির আবশ্যিকভাবে প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা করতে হবে। এটা ২০০৪ সালেই আইনটা ছিল, কিন্তু আমরা ঢাকা ক্রেডিটে সবসময়ই জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা করে এসেছি। কিন্তু আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী দলের একজন সদস্য ২০১৭ সালে মি. সুজন ডেনিস কোড়াইয়া, তিনি হাইকোর্টে একটি মামলা করে, পরবর্তীতে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সেই ২১ এর ১ বিধি প্রতিপালন করার জন্য নির্বাচন করার জন্য ঠিক নির্বাচনের তিন দিন পূর্বে অর্থ্যাৎ ১২ জানুয়ারি ২০১৭ আমাদের সেই মহামান্য এপিলেড ডিভিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্জের রায় অনুসারে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনটি করতে হয়। যতক্ষণ এই আইনটি বিদ্যমান আছে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন সমবায়ের আইন এবং বিধি অনুসারেই হবে। আমি যেদিন দায়িত্বভার গ্রহণ করি, শপথ গ্রহণের প্রথম দিনই সেখানে তৎকালীন মাননীয় সমবায় প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। হাজারো মানুষের সামনে, সদস্যদের সমানে আমি ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম শুধু আমরা এটাই চাই এই ২১ এর ১ বিধিটি পরিবর্তন করে যাতে আমাদের সদস্যরা সমস্ত বার্ষিক সাধারণ সভা এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পরবর্তীতে আমরা সমবায় অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি, মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি এবং বিভিন্ন গোলটেবিল বৈঠকে যেটা আমাদের কাককোর মাধ্যমে হয়েছে, সেখানেও আমরা তুলে ধরেছি। আমাদের উপদেষ্টা মাননীয় সংসদ সদস্য ঝর্ণা গ্লোরিয়া সরকার তিনিও বিষয়টিকে সংসদে তুলেছেন। আমরা চাই ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচনে সমস্ত সদস্যরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। একই সাথে আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভাগুলো আগের মতো মিলন মেলায় পরিণত হোক। প্রতিনিধির মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বার্ষিক সাধারণ সভার মধ্যে কোন আনন্দ নেই।

আপনার মেয়াদকালে বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যতটুকু জানি, আগামীতে আপনি কন্টিনিউ করবেন না কিন্তু এই যে বড় বড় প্রকল্প রেখে যাচ্ছেন এইসব প্রকল্পের বিষয়ে লিডার শিপের ব্যাপারে যদি কিছু কলতেন।

বাবু মাকুর্জ গমেজ: বিগত ছয় বছর আমরা যে সমস্ত প্রকল্পগুলো গ্রহণ করেছি- এগুলো দলগত উদ্যোগ। আমার বোর্ড, এডভাইজারি সেল, আমাদের কর্মী ভাই-বোনেরা এবং ৪০ হাজার সদস্যের যে স্বপ্ন, এগুলোকে নিয়ে আমরা কাজ করেছি, টিমে কাজ করেছি। এখানে ব্যক্তির চাইতে আসলে টিমটা অনেক বড়। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করেছি আমার দুই মেয়াদেই যতটুকু করেছি, যতটুকু দিতে পেরেছি এই সমিতির জন্য, আমার অনেক লিডার আছেন যারা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো দক্ষতা রাখেন। ডিভাইন মার্সি জেনারেল হসপিটাল হতে যাচ্ছে। এটা একটা বাস্তবতা। রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, নার্সিং স্কুল ইতিমধ্যে করতে যাচ্ছি। বিউটি পার্লার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার বিশেষ করে আদিবাসী নারী বোনদের জন্য। এই প্রত্যেকটি প্রকল্পই আসলে আমার একার বা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার ফসল না। আমরা একটা টিম হিসেবে কাজ করেছি এবং আমি বিশ্বাস করি নেতৃত্বের সেই ধারাবাহিকতায় যাঁরা আসবেন,  আগামী দিনে তাঁরাও একটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, তাঁদেরও সেই দক্ষতা আছে। ব্যক্তি নির্ভরতার চাইতে আমি মনে করি যদি একটা দক্ষ টিম হয় তাহলে যেকোন প্রতিষ্ঠানের ডেলেভপমেন্ট সাসটেইন করে। ঢাকা ক্রেডিটের চলমান যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো আছে যার মাধ্যমে আমরা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছি। যার ফলে আমাদের টোটাল খ্রীষ্টান সমাজে, শুধু খ্রিষ্টান সমাজেই না, বাংলাদেশে, সমবায় সমিতির যে যাত্রা প্রায় শত কাছাকাছি, এটাই ঢাকা ক্রেডিটের প্রথম উদ্যোগ আমরা হাসপাতালের এতবড় একটা প্রকল্প নিয়েছি। প্রত্যেকটা জায়গায় আমরা পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আপনারা দেখেছেন আমাদের হাসপাতালের সিইও নিয়োগ দিয়েছি যিনি স্কয়ার হসপিটালের সিইও ছিলেন, পরবর্তিতে তিনি আরো দুইটি হসপিটাল করেছেন- মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জন গমেজ। ওনাকে আমরা নিয়োগ দিয়েছি। আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় বেষ্ট কোয়ালিফাইড মানুষকে চেষ্টা করেছি তাঁদের মাধ্যমে আমাদের এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নিশ্চিতভাবে খ্রিষ্টান সমাজের চেহারা বদলে যাবে। আজকে হসপিটাল হলে এর সাথে আমাদের মাস্টার প্লানিং মেডিকেল কলেজ এন্ড নার্সিং কলেজ আছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য আমরা সুযোগ করে দিতে পারবো। আগামী ২০ বছর পর বাংলাদেশে কমপক্ষে পাঁচ হাজার আমাদের ছেলে-মেয়ে ডাক্তার হবে, কমপক্ষে ২০ হাজার নার্স বা টেকনিশিয়ান এই সেবা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে আমরা পাব। আমি অত্যন্ত আশাবাদি যে এই প্রকল্পগুলো প্রত্যেকটাই ভাল মতো চলবে। কারণ আমাদের সদস্যদের এখানে অংশগ্রহণ আছে ও তাদের ভালবাসা আছে। ঢাকা ক্রেডিটে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব  এগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি আর এই তিনটা যখন একটা প্রতিষ্ঠানে থাকে সে প্রতিষ্ঠানের যেকোন প্রকল্পই ভালমতো চলবে।

আপনার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে সাধারণ সদস্য-সদস্যাদের প্রতি আপনার কোন বক্তব্য আছে কী?

বাবু মাকুর্জ গমেজ: আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের সবাইকে যে বিগত ছয়টি বছর সব সময় আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ রাখবো, আপনারা আরো বেশী সম্পৃক্ত হবেন। আমরা বলি ঢাকা ক্রেডিট হচ্ছে ‘সুখি পরিবার’, ‘হ্যাপি ফ্যামিলী’। ঢাকা ক্রেডিটে একজন সদস্যের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সমস্ত আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনের জন্য প্রডাক্ট তৈরি করেছি। আমরা চাই আমাদের সম্পদ, আমাদের যেই রিসোর্স আছে সেটা আমাদের মধ্যেই সহভাগিতা করার জন্য। এটাই সমবায়ের মূলমন্ত্র। এই সহভাগিতার মাধ্যমে আমরা একটা শক্তিশালী খ্রিষ্টান সমাজ আমরা গড়ে তুলতে পারবো।

সমবায়ে একজন স্বর্ণ পদক বিজয়ী এবং জাতীয় সমবায় পদক বাছাই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দেশের সমবায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

বাবু মার্কুজ গমেজ: যাঁরা সমবায়ী নেতৃত্ব দিনে চান তাঁদেরকে বিনীতভাবে বলি, সমবায় প্রতিষ্ঠান একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে যাঁরাই নেতৃত্ব দিতে আসবেন তাঁদের আসলে ফাইন্যান্স বুঝতে হবে, একাউন্টস বুঝতে হবে। কারণ, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কোথায় বিনিয়োগ করলে আপনি কাঙ্খিত লাভ ফেরত পাবেন। কোন বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ- এগুলোর বিশ্লেষণের জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন আছে। আমি সবায়কে অনুরোধ করবো, আমাদের ডিরেক্টর কমপিটেন্সি কোর্স আছে, কাল্ব একটা করে, এছাড়াও বিশেষ করে এই একাউন্টসের যে বিশ্লেষণ এটা প্রয়োজন, কারণ তা না হলে আমাদের প্রত্যেকটা ক্রেডিট ইউনিয়নই দিন দিন বড় হচ্ছে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্যে যদি ব্যবস্থাপনা কমিটি বা যাঁরা এখানে সেবা দিতে চায় তাঁদের সেই পরিমাণ দক্ষতা না থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো একটা পর্যায়ে ঝুঁকির মুখে পড়বে।

সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

বাবু মার্কুজ গমেজ: আপনাকেও ধন্যবাদ।