শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের সার্বিক পরিস্থিতি ও আগামী দিনের করণীয়
ন্যায় সত্য সুন্দর দলের নেতৃত্বে ২৮ অক্টোবর (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা ক্রেডিটের বি কে গুড কনফারেন্স হলে ‘ঢাকা ক্রেডিটের সার্বিক পরিস্থিতি ও আগামী দিনের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা আয়োজন করা হয়।
ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান বোর্ডকে ২০১৭ সালের জানুয়ারির ১৫ তারিখের নির্বাচনের পূর্বে ও পরে নানা চ্যালেঞ্জের সন্মুখীন হতে হয়েছে এবং হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ন্যায় সত্য সুন্দর দলের আহবায়ক নির্মল রোজারিও। তিনি আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বিচক্ষণতা ও দক্ষতার সাথে সেগুলো মোকাবিলা করেছেন ও এখনও করে যাচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তার জন্য আপনাদের সদিচ্ছা ও সহযোগিতার কোনো কার্পণ্য ছিল না। আপনাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করি।’
ন্যায় সত্য সুন্দর দলের আহবায়ক নির্মল রোজারিওসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপিস্থত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, দলের যুগ্ম আহবায়ক জর্জ রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, দলের কো-কনভেনর বিলাস বি. গমেজ ও বাসন্তী রিবেরু, দলের বিশিষ্ট সদস্য মঞ্জু মারিয়া পালমা, কাককোর অধীন বিভিন্ন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, কর্মকর্তা, ঢাকা ক্রেডিটের নারী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ঢাকা ক্রেডিটের উপদেষ্টাবৃন্দসহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচন হয়েছে মাত্র ১০ মাস আগে, ২০১৭-এর জানুয়ারিতে। নির্বাচনে যারা বিরোধিতা করেছেন, তারা ঢাকা ক্রেডিটের বিরুদ্ধে নানা সমস্যা ও জটিলতা সৃষ্টি করা সত্ত্বেও ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান বোর্ডও বিচক্ষণতার সাথে সাধারণ সদস্যদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন ন্যায় সত্য সুন্দর দলের আহবায়ক, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, কাক্কোর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও।
ন্যায় সত্য সুন্দর দলের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা ক্রেডিটের নারী উপ-কমিটির সদস্য ও অন্যান্য ক্রেডিট ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, গাব্রিয়েল রোজারিও ও দীপক পিরিছ গংদের বিরোধিতার কারণে ঢাকা ক্রেডিটসহ সমগ্র খ্রিষ্টান সমাজে দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে বিরোধিতার সাথে জড়িতদের উদ্দেশ্য করে নির্মল রোজারিও আরো বলেন, ‘এঁরা আমাদের সাথে একসাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এঁদের বিচ্ছিন্নতা ঘটে। এ ধরনের ক্ষমতালিপ্সুদের নির্বাচিত করে সমাজের নেতৃত্বে আনা উচিত নয়। সমাজের প্রতি তাঁদের কোনো দায়বদ্ধতা বা কমিটমেন্ট নেই।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচন হয় প্রতিনিধির মাধ্যমে। ক্রেডিট ইউনিয়নের ৬২ বছরের ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে কেন এমন নির্বাচন হলো, তার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সভার মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ। মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সাবলীল ভাষা ও যুক্তিসহকারে ঢাকা ক্রেডিটের বিপরীতে প্রতিপক্ষের নানা ধরনের মামলার পটভূমি, লিখিত অভিযোগ বা আর্জি ও রায়ের হূবহূ উপস্থাপনসহ খ্রিষ্টান সমাজের শতাধিক নেতৃস্থানীয় অংশগ্রহণকারীর সন্মুখে তুলে ধরেন। তিনি নির্মল রোজারিওর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নির্বাচনের পূর্বে ও পরে বিপক্ষ প্যানেলের ঢাকা ক্রেডিট ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ডের বিবরণ দেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ন্যায় সত্য সুন্দর দল সমাজের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
বাবু মাকর্ৃুজ বলেন, এই ন্যায় সত্য সুন্দর দলের সার্বিক সহযোগিতা, সমর্থন ও সমাজের ইতিবাচক নেতৃত্বের সহযোগিতায় বর্তমান বোর্ড নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। ‘তাই খ্রিষ্টান সমাজের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ ঢাকা ক্রেডিটকে রক্ষা করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের আইন ও বিধি দ্বারাই দেশের সকল সমবায় সমিতি পরিচালিত হয়ে থাকে। ২১-এর (১) বিধির উল্লেখ করে বলেন, এই বিধি মেনে চলতে গিয়েই বিগত নির্বাচন প্রতিনিধির মাধ্যমে করতে হয়েছে, এই বিধি বহাল থাকলে ভবিষ্যতেও তা-ই করতে হবে।
ঢাকা ক্রেডিটের উপবিধির উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ বলেন, এর উপ-আইনে বলা আছে সকল সদস্যের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রতিপক্ষ তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে ২১-এর (১) বিধির ভিত্তিতে মামলা দয়ের করে নির্বাচন বন্ধ করার পায়তারা করেছেন। ২০১৪-২০১৭ পর্যন্ত প্রত্যেক বছর এজিএম সকল সদস্যের অংশগ্রহণেই হয়েছে।
প্রথমে ৬ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থাকলেও প্রতিপক্ষের করা মামলার কারণে বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি জানুয়ারির ১৫ তারিখেই (২০১৭) প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন করার পক্ষে রায় দেন। ‘আমরা সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ঢাকা ক্রেডিটের আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন সম্পন্ন করার আয়োজন করি। প্রতিনিধির স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ২১২ জন প্রতিনিধির মাধ্যমে ও সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়। স্বাক্ষর সংগ্রহের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করেন। এসব প্রতিকূলতার মাঝেও আপনারা ঢাকা ক্রেডিটকে রক্ষা করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।’
নির্বাচনের পর ৫ম ত্রি-বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে বাবু মার্কুজ বলেন, ‘২০২০ সালের মধ্যে সমিতিকে ৯০০ কোটি টাকা মূলধন ও ১ হাজার কর্মীর একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। কিন্তু সম্ভাবনাময় এই প্রতিষ্ঠানকে ওই প্রতিপক্ষ নষ্ট করার মানসে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ ছয়টি মামলা করেছেন। এসব মামলার মূল বক্তব্য হলো ২১ বিধির প্রতিপালন হয়নি। যে নয়জন মামলা করেছেন, তাঁদের চাওয়া ছিল সমিতিতে সরকারের অন্তবর্তীকালীন কমিটি বহাল করে নতুন নির্বাচন করা। সেটা করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা ছয়টি মামলা করেছেন। সেসব মামলার যে পর্যালোচনাগুলো সংশ্লিষ্ট মহামান্য আদালত দিয়েছেন, সেগুলো সবার সামনে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ও পড়ে শোনান প্রেসিডেন্ট গমেজ।
উপস্থাপনকালে প্রেসিডেন্ট গমেজ বলেন, তাদের প্রত্যাশা অনুসারে সবকিছু হলে, সমিতির অবসায়ন হতো। এতে খ্রিষ্টানদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড (ঢাকা ক্রেডিট) ভেঙ্গে পড়তো। প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, মামলার রায়ে পরাজিত হয়ে সংক্ষুব্ধ দলের নয়জন রেজিস্টারের নিকট আপিল মামলা করেন। রেজিস্টার সেগুলো খারিজ করে দেন। নয়জন আবার জজকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁরা হয়তো ৩-৫ বছর মামলা করতেই থাকবেন। তাঁরা খ্রিষ্টান নেতৃত্বকে অশান্ত রাখতে চাইছেন।
তিনি বিভিন্ন সমিতির মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টির পিছনে দু-একজন পেশাদার মামলাবাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, এমন একজন মামলাবাজ বর্ণালীর একটি মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন।
২০১৭-এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা মিথ্যা তথ্যভিত্তিক এসএমএস এসেছে সদস্যদের বর্তমান ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের আস্থাহীনতা সৃষ্টির জন্য, সদস্যদের মাঝে বিভ্রন্তি সৃষ্টির জন্য। কিন্তু সাধারণ সদস্যরা সচেতন, তাঁরা বুঝতে পেরেছেন চক্রান্তকারীদের মনোভাব। প্রেসিডেন্ট গমেজ এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে আত্ম-বিশ্বাস ও সততার স্পিরিট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
১৫ জানুয়ারি নির্বাচনের অব্যবহিত পরেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সমবায় প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন এবং সকল সদস্যের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এজিএম ও নির্বাচন করার বিষয়ে ‘দেখবেন’ বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে ঢাকা ক্রেডিট চলতি বছরের আগস্টের ৯ তারিখে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধকের কাছে লিখিত আবেদন করে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে এজিএম করার অনুরোধ জানায়। নিবন্ধক লিখিত উত্তরে আদালতের রায়ের বরাত দিয়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে তা করার কথা উল্লেখ করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ডিভিডেন্ট ও রিবেট দেওয়ার জন্য আমাদের এজিএম করতে হবে। তা করা জরুরি। তাই আদালতের রায় ও সমবায় অধিদপ্তরের নির্দেশ মেনে ৫৭তম এজিএম প্রতিনিধির মাধ্যমে হতে যাচ্ছে। আপনারা সবাই ন্যায় সত্য সুন্দর দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে নিজেদের দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করবেন।’
যে ২১২ জন বিগত নির্বাচনে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরাই আসন্ন এিজিএম-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন। ‘মিলনমেলা’ হচ্ছে না, এতে অনেক সদস্য সংক্ষুব্ধ হবেন। তাঁদের এব্যাপারে পরিষ্কারভাবে বুঝাতে হবে। এ পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ি, তাদের কথাও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে মত দেন বাবু মার্কুজ গমেজ। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, সাধারণ সদস্যরা যেন পরবর্তী এজিএমগুলোতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য ঢাকা ক্রেডিট কাজ করে চলেছে। ২১-এর (১) ধারার ‘আবশ্যিক’ শব্দটি যেন বাদ দেওয়া হয় তার জন্যও ঢাকা ক্রেডিট কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার আসাদগেটে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য কাথলিক চার্চের সাথে যে চুক্তি ছিল, তার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, তা বর্তমান বোর্ড সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সাথে সমন্বিত আলোচনার ভিত্তিতে স্থগিত করেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডেভের কাছে প্রতিপক্ষের লোকেরা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অভিযোগ করেছে এই বলে যে, সেই স্থান আবাসিক এলাকা যা হাসপাতাল করার পরিপন্থী। তাই বর্তমান বোর্ড এই চুক্তি বাতিল করে চার্চের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রদত্ত অর্থ সুদসহ ফিরিয়ে এনেছে। পরবর্তীতে ঢাকা ক্রেডিটের মঠবাড়িতে ক্রয়কৃত ২২ বিঘা জমিতে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
স্বপ্নের হাসপাতাল ২০১৮ সালের মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি। একই সাথে বিউটি পার্লারের মেয়েদের কাছে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। সেই স্থাপনা তৈরিতে ঢাকা ক্রেডিটের ৫১% এবং বিউটি পার্লারের মেয়েদের জন্য ৪৯% থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, দু-মাস পর অর্থাৎ ডিসেম্বরে (২০১৭) নদ্দায় ৮তলা এই প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করা হবে।
শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা যেন সকল বিভ্রান্তি কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চলতে পারি তার জন্য আমাদের সবারই দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে ব্যাপারে আমাদের সবার একযোগে কাজ করতে হবে’
পোপের আসন্ন আগমনকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক ঘটনা। ‘আমরা খ্রিষ্টের সাক্ষ যেন বহন করতে পারি, তার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ঢাকা ক্রেডিটের পিকআপ গাড়িটিতে চড়ে পোপ সহরাওয়ার্দী মাঠে ঘুরে সবাইকে আশির্বাদিত করবেন বলে জানান তিনি। ‘এটা আমাদের ঢাকা ক্রেডিটের জন্য গৌরবের।’
প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পর আলোচনার জন্য উন্মুক্ত ফ্লোর দেওয়া হলে ৮-৯ জন অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের বক্তব্যটি ডকুমেন্ট করে সকল সদস্যকে জানানো অতীব জরুরি। তাতে এজিএম বা নির্বচনের সময় তাঁরা সংক্ষুব্ধ হবেন না। তাঁরা বাস্তবতা বুঝতে পারবেন। প্রকৃত বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। তাঁরা আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ কী তা খোলামেলাভাবে বুঝার জন্য গাব্রিয়েল রোজারিও ও দীপক পিরিছের কর্মকান্ড সবারই জানার দরকার।
শেষাংশে ন্যায় সত্য সুন্দর দলের আহবায়ক নির্মল রোজারিও বলেন, গাব্রিয়েল রোজারিও ও দীপক পিরিছদের কারণে ঢাকা ক্রেডিটসহ সারা খ্রিষ্টান সমাজের যে অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কবে পুষিয়ে নেওয়া যাবে তা ঠিক বলা মুশকিল। তাঁরা সমাজে ও ক্রেডিট ইউনিয়ন অঙ্গনে দুর্যোগের সৃষ্টি করেছেন। ক্ষমতালিপ্সুদের কোনোভাবেই নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া যাবে না। অনেকে লিফলেট ছাপিয়ে, ঢাকা ক্রেডিটের মাসিক প্রকাশনা সমবার্তা ও অনলাইন ডিসিনিউজে প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজের বক্তব্য প্রচারের প্রস্তাব দেন, যেন ঢাকা ক্রেডিটসহ খ্রিষ্টান সমাজের সবাই সমাজের কলঙ্কজনক অধ্যায় সম্বন্ধে জেনে সেই মতে পদক্ষেপ নিতে পারে।
বিভিন্ন মামলার পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া বলেন, ১৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে ঢাকা ক্রেডিট অন্তর্বতীকালীন কমিটির ওপর ন্যাস্ত হতো। তাতে সমিতি তছ্নছ্ হয়ে যেতো। তিনি ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমান বোর্ডকে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা তার বক্তব্যে বলেন, ক্রেডিট ইউনিয়নের সকল সদস্য যেন আবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এজিএম ও নির্বাচন করতে পারেন, তার জন্য কাককোর মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঢাকা ক্রেডিটের নারী উপ-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জু মারিয়া পালমা ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ডের সাথে একাত্ম হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলায় সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আগেও ছিলাম এখনো ঢাকা ক্রেডিটের সাথে আছি।’
সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ন্যায় সত্য সুন্দর দলের মহাসচিব নিপুন সাংমা। দলের সদস্য হিলারিশ হাউইয়ে প্রার্থনায় সভা আরম্ভ ও নারী উপ-কমিটির সদস্য শান্তি কোড়াইয়ার প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
আরপি/আরআর/২৯ অক্টোবর, ২০১৭