শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন: স্মরণে প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্নদ্রষ্টাগণ
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
সদস্যদের অংশগ্রহণে উদযাপন করা হলো দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা’র (ঢাকা ক্রেডিট) ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ জুলাই, ফার্মগেটের তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়ার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজের সঞ্চালনায় এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ (কাককো) লি:’র চেয়ারম্যান ও ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:’র সেক্রেটারি ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডল।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং, ট্রেজারার সুকুমার লিনুস ক্রুশ, প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিওসহ, ঢাকা ক্রেডিটের ব্যাবস্থাপনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টা ও সদস্যগণ।
এদিন অনুষ্ঠানের সভাপতি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘শুরুতেই স্মরণ করছি ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি ও স্বপ্নদ্রষ্টা আর্চবিশপ লরেন্স এল. গ্রেণার সিএসসি’কে। আরো স্মরণ করছি তৎকালীন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ ও প্রয়াত কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দদের। ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন কর্মকর্তা, উপদেষ্টা ও সদস্যদের জানাই ঢাকা ক্রেডিটের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুলাই আমাদের প্রাণপ্রিয় ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তৎকালীন মাত্র ২৫ টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি মানুষের আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা লাভের মাধ্যমে যেমন হয়ে উঠেছে দেশের সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকরণীয়, তেমনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের বর্তমানে ৪৬ হাজার সদস্যের মূলধন প্রায় ১৩শ কোটি টাকা। সদস্যদের জন্য ৮৬টি প্রডাক্ট সেবা রয়েছে এবং সদস্যসহ দেশের আপামর জনগণের জন্য রয়েছে ৩১ টি প্রকল্প সেবা। বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ৩শ বেডের আন্তর্জাতিকমানের ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা বিভিন্ন সমবায় প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছি যেন সমবায়ীরা স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা লাভ করেন। ইতিমধ্যে আমরা মিশরীয় ককপিট চার্চের সাথে চুক্তি করেছি, এই চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিকমানের বিদেশী ডাক্তারগণ ডিভাইন মার্সি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামান্ত লাল সেনসহ সরকারী উচ্চ মহলের নেতৃবৃন্দ এই হাসপাতাল পরিদর্শন করে হাসপাতালের চিকিৎসা মান নিয়েও প্রশংসা করেছেন। ইতিমধ্যে ডিভাইন মার্সি নার্সিং ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করেছে। অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই ইনিস্টিটিউটের প্রথম ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।’
‘এসব বাদেও আমাদের স্কুল, বিউটি পার্লার ও ট্রেনিং সেন্টার, চাইল্ড কেয়ার, জিম, নিজস্ব ইআরপি সফট্ওয়্যার, পাশবই অ্যাপসেবাসহ নানামুখী সেবা নিয়ে সদস্যগণ নিজেদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের এই উন্নয়নযাত্রায় আপনারা সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়েছেন। সবাইকে এর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সামনের দিনগুলোও আপনাদের সহযোগিতায় ও সৃষ্টিকর্তার অশেষ আশির্বাদে এগিয়ে যাব বলে বিশ্বাস করি’ বলেন সভাপতি কোড়াইয়া।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি সহকারী বিশপ সুব্রত গমেজ বলেন, ‘১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং’র নেতৃত্বে খুব স্বল্পসংখ্যক সদস্য ও মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। কিন্তু এই ৬৯ বছর পর ঢাকা ক্রেডিটের এখন প্রায় ১৩শ কোটি টাকার মূলধন এবং ৪৬ হাজার সদস্য। ফাদার ইয়াং এটা দেখে স্বর্গে বসে আনন্দই পাচ্ছেন। সমবায় মানে সকলকে নিয়ে যাত্রা করা। পোপ ফ্রান্সিস আমাদের সিনোডাল চার্চ অর্থাৎ এক সাথে চলার কথা বলেছেন। সমবায়ের মাধ্যমে আমরা এক সাথে পথ চলি।’
‘আমাদের নেতৃত্বে থেকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন হতে হবে। ফাদার ইয়াং বলতেন, ক্রেডিট ইউনিয়নে অসৎ ব্যক্তিদের স্থান নেই। আমাদের তার মূল্যবোধ ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। ঢাকা ক্রেডিটের আরো অনেক উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের কিভাবে বৃহত্তর সমাজের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, সেই চেষ্টাও করতে হবে’ বলেন সহকারী বিশপ সুব্রত বি. গমেজ। এ সময় তিনি সকলকে ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আজ শ্রদ্ধা ভরে ফাদার চার্লস জে. ইয়াংকে স্মরণ করছি। তিনি ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেই আজ আমরা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে পেরেছি। তবে মানুষের নৈতিকতা, আধ্যত্মিকতার উন্নয়ন না হলে স্থিতিশীল উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নও প্রয়োজন। আমরা নির্বাচন করলাম, বসলাম, কিন্তু কিছু করলাম না, তাহলে এই নেতৃত্বের প্রয়োজন নেই। নেতৃত্বে এসে কিছু করতে হবে। তাহলেই উন্নয়ন সম্ভব। ঢাকা ক্রেডিটের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রয়েছে, তাই সমিতিও সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আমাদের শুধু ঋণ দেওয়া-নেওয়ার সুযোগ নেই, এখন আয়মূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে হবে। ঢাকা ক্রেডিট তাই করছে। ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ মানুষের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে।’
কাককো লি:’র চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট শুরু থেকে সুনেতৃত্বের ধারায় চলে এসেছে বলে আজ এতটা উন্নত এবং স্বচ্ছ। আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। তবে আমাদের অর্জন যেমন রয়েছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তাই আমাদের নেতৃত্বের একতা থাকতে হবে। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবো, চ্যালেঞ্জগুলোও মোকাবেলা করতে পারবো। ঢাকা ক্রেডিটের আগামী পথ চলা আরো সুন্দর হোক। সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
এ ছাড়াও অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাই। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের একটি উদ্দেশ্য হলো, যারা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, শ্রম, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে অনেক দূর নিয়ে এসেছেন, তাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা। ঢাকা ক্রেডিটকে ধন্যবাদ জানাই, এ রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ঢাকা ক্রেডিট বিভিন্ন প্রডাক্ট ও প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাচ্ছে। আমাদের স্বপ্নদ্রষ্টারা যে স্বপ্ন দেখেছেন, বর্তমানে ঢাকা ক্রেডিট সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছে। ঢাকা ক্রেডিট সব সময় উন্নত শির হয়ে থাকুক এই কামনা করি।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে অতিথিবৃন্দরা সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ দিন ঢাকার সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজকে ঢাকার নতুন সহকারী বিশপ হিসেবে অধিষ্ঠান উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান করে ঢাকা ক্রেডিট পরিবার। এ ছাড়াও অন্যান্য অতিথিবৃন্দদের ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মান জানানো হয়।
এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল ঢাকা ক্রেডিট কালচারাল একাডেমি, ঢাকা ক্রেডিট নারী কমিটি, ঢাকা ক্রেডিট কর্মীদের অংশগ্রহণে নাচ, গানসহ নানা আয়োজন।
প্রতিষ্ঠানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং’র ধন্যবাদ বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে তেজগাঁও চার্চে প্রার্থনানুষ্ঠান, তেজগাঁও ও ওয়ারী কবরাস্থানে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে ৩ জুলাই ফাদার চার্লস জে ইয়াংয়ের নেতৃত্বে পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজার চার্চে একটি সভা আহবান করা হয়। সভায় পঞ্চাশ জন খ্রিষ্টভক্তের অংশগ্রহণে বার্নার্ড ম্যাকার্থীকে প্রেসিডেন্ট ও জোনাস রোজারিওকে সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ক্রেডিট ইউনিয়ন আন্দোলন গঠনের ক্ষেত্রে এটাই ছিল এ দেশে স্মরণকালের প্রথম ক্রেডিট ইউনিয়ন গঠনের সভা। যা ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই তৎকালীন খবরের কাগজে ছাপা হয়। দরিদ্র খ্রিষ্টভক্তদের আর্থিক সংকট দূরীকরণের স্বপ্ন দানা বাঁধতে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ ১৯৪০-এর বেঙ্গল সোসাইটি এ্যাক্টের অধীন ‘দি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড, ঢাকা’ নামে নিবন্ধন লাভ করে।
প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে রয়েছে ১৩শ কোটির টাকার সম্পদ-পরিসম্পদ, ১০টি নিজস্ব ভবন, প্রধান কার্যালয়ের পাশাপাশি ১২টি সেবাকেন্দ্র, ২৩টি কালেকশন বুথ, ৮৬টি প্রডাক্ট/সেবা, প্রায় সাড়ে ৬শ জন কর্মী এবং ৪৬ হাজার গর্বিত সদস্য। নিরবিচ্ছিন্ন সদস্যসেবা ও কর্মসম্পাদনের লক্ষে ঢাকা ক্রেডিটের রয়েছে ১৮টি বিভাগ। তার মধ্যে মানব-সম্পদ উন্নয়ন, কালেকশন, হিসাব, অডিট, এমআইএস, মেম্বারস কেয়ার, ঋণ ব্যবস্থাপনা, ঋণ তদন্ত, লোন রিয়েলাইজেশন, মিডিয়া, সিকিউরিটি, রিয়েল এস্টেট, মার্কেটিং, আইটিসি, জেনারেল ইত্যাদি।
ঢাকা ক্রেডিটের নানামুখি সেবা প্রদানের জন্য প্রায় ৫৩টি উপ-কমিটি রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে উপদেষ্টা কমিটি, নারী কমিটি, যুব কমিটি, শিক্ষা কমিটি ইত্যাদি। ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম ঢাকা শহরকেন্দ্রিক শুরু হলেও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থিক ও সেবা নিশ্চিতের লক্ষে বর্তমানে এর কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ঘটেছে ৪টি জেলায়: ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জে।
ঢাকা ক্রেডিট কার্যক্রমের সফলতার চ‚ড়ান্ত সীমায় বিচরণ করে শুরু করেছে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমবায়ের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ৩০০ শয্যার ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল। যা ইতিমধ্যে চিকিৎসা কার্যক্রমের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে চলেছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামান্ত লাল সেনসহ সরকারী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রসংশা করেছেন। এ ছাড়াও ডিভাইন মার্সি নার্সিং ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা এই সেশন থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে। এ ছাড়াও রয়েছে ডিসি রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুল, আন্তর্জাতিকমানের চাইল্ড কেয়ার এন্ড এডুকেশন সেন্টার, ডিসি বিউটি পার্লার এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, বান্দুরা বহুমুখী প্রকল্পের অধিনে গেস্ট হাউস, ট্রেনিং সেন্টার, কনফারেন্স হল, কমিউনিটি সেন্টার, ডিসি জিম, কালচারাল একাডেমি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার নিমিত্তে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও লোন, কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য জন্য সাধনপাড়া ও মনিপুরীপাড়া এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য নদ্দা এলাকায় আবাসিক হোস্টেল, ডিসি সিকিউরিটি সার্ভিস, স্পেশাল ইংলিশ কোর্স, ম্যাকার্থী লাইব্রেরি, জব লিংকিং সেল, কলসেন্টার, সেলাই ও চাইনিজ রান্না প্রশিক্ষণ, স্বল্পমূল্যে মেডিকেল সেবা ও এম্বুলেন্স সার্ভিসসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সেবা প্রদানের লক্ষে আরো অনেক প্রকল্প।
ঢাকা ক্রেডিট ডিজিটালাইজেশনের পথে অগ্রসর হয়ে ইতিমধ্যে শুরু করেছে নিজস্ব ইআরপি সফট্ওয়ার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, যা ঢাকা ক্রেডিটসহ বিভিন্ন সমবায় সমিতির নিরাপত্তায় স্বল্পমূল্যে ব্যবহার করতে পারছে। রয়েছে নিজস্ব অ্যাপ সেবা ‘পাশ বই’, যেখানে এমএমএস, সংবাদ, নোটিশ, প্রকল্প সেবাগ্রহণ, প্রয়োজনীয় যোগাযোগের ব্যবস্থাসমূহ সন্নিবেশিত রয়েছে। এমএমএস-এর মাধ্যমে সদস্যরা এখন অফিসে না এসেও বিভিন্ন ধরণের সেবা- ব্যক্তিগত তথ্য, মানি ট্রান্সফার, বিকাশের মাধ্যমে জমা প্রদান, ঋণ পরিশোধ, জামিনদারের তথ্য, এটিএম সার্ভিসে কিউআর কোড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনের মতো আধুনিক ও স্মার্ট সুবিধা। উল্লেখযোগ্য একটি সুবিধা হলো নিয়মিত সদস্যরা এই সার্ভিসের মাধ্যমে অফিসে না এসে যেকোনো সময় ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ইনস্ট্যান্ট লোন গ্রহণ করতে পারছেন। ঢাকা ক্রেডিটের উল্লেখযোগ্য স্থানগুলোতে রয়েছে ২৪ ঘন্টার এটিএম সার্ভিসের সুব্যবস্থা।
সদস্যদের সঞ্চয়ী হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে রয়েছে সাধারণ সেভিংস, দীর্ঘমেয়াদি আমানত সুবিধা, মাসভিত্তিক সঞ্চয়, মিলিনিয়ার স্কীম, শিশু-কিশোরদের জন্য বী-সেভার্স ও স্মার্ট-সেভার্স, বিবাহ সঞ্চয় স্কীম, ডাবল ডিপোজিট স্কীম, অবসর জীবনের নিরাপত্তার জন্য পেনশন বেনিফিট স্কীম (পিবিএস) ইত্যাদি।
সদস্যদের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক বুনিয়াদ মজবুদ করণের লক্ষে প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সাধারণ ঋণ, বাড়ি নির্মান ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, উচ্চশিক্ষা ঋণ, ক্রেডিট সিলিং ঋণ, টপ-আপ ঋণ, বিভিন্ন সঞ্চয়ের বিপরীতে ঋণ, গাড়ি ক্রয় ঋণ, ভোক্তা ঋণ, দেশে এবং বিদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা সহায়তা ঋণ, সলভেন্সি ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িক ঋণ, কৃষি ঋণ, ব্যবসায়িক ঋণ, বিবাহ ঋণ ইত্যাদি।